বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নেবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। তার আগে তাঁর একটি মন্তব্য নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সপ্তাহ তিনেক আগে মহারাষ্ট্রের একটি অনুষ্ঠানে রাম জন্মভূমি মামলার রায় নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন সিজেআই। তা নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল। এবার এই নিয়ে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন তিনি।
রাম জন্মভূমি মামলায় ঈশ্বরের ‘ভূমিকা’র ব্যাখ্যা দিলেন সিজেআই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)!
মহারাষ্ট্রের ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি … রাম জন্মভূমি মামলা আমার কাছে তিন মাস পড়ে ছিল … ঈশ্বরই সব কিছুর পথ দেখান’। সিজেআই চন্দ্রচূড় এই মন্তব্য করার পরেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই ওই মামলায় তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। এবার মুখ খুললেন বিদায়ী চিফ জাস্টিস নিজে।
সোমবার এই প্রসঙ্গে সিজেআই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনও ধর্মে বিশ্বাসী বলে অন্য ধর্মের মানুষের সঙ্গে অবিচার করব অথবা নিজের ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করব, এমনটা তো নয়’। তিনি আরও বলেন, ‘জটিল মামলার ক্ষেত্রে আমরা কীভাবে সিদ্ধান্ত নিই অথবা সমাধান সূত্র বের করি, এই নিয়ে ওনারা আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন। আমি জবাবে জানাই, নিজের মনকে শান্ত এবং অবিচল রাখার জন্য আমি সকালে উঠে ১ ঘণ্টা প্রার্থনা করি। উনি ঠিক পথনির্দেশ দেন’।
আরও পড়ুনঃ তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত! ফের নিম্নচাপের প্রভাব বাংলায়? রইল আবহাওয়ার তাজা আপডেট
প্রধান বিচারপতি জানান, এই প্রেক্ষিতে রাম জন্মভূমি মামলার (Ram Janmabhoomi Case) কথা এবং একইসঙ্গে ঈশ্বর-বিশ্বাসের প্রসঙ্গও উঠে আসে। গতকাল সিজেআই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সংবিধান, আইন এবং যুক্তি-তর্ক-প্রমাণের ভিত্তিতে যে কোনও মামলার বিচার করা হয়। এর বাইরে অন্য কিছু না। অযোধ্যা মামলার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে’।
বিদায়ী চিফ জাস্টিস ব্যাখ্যা করে বলেন, নিজেদের ভারমুক্ত রাখার জন্য কেউ গান শোনেন, কেউ যোগা করেন, কেউ আবার হাসি-ঠাট্টা করেন। তেমনই তিনি পুজো-প্রার্থনায় মনোনিবেশ করেন বলে জানান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। এতে কী ভুল আছে, প্রশ্ন করেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ তুলে নিয়ে সেটার ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিষ্কার করে দেন, তিনি সব ধর্মকে সমান শ্রদ্ধা করেন এবং কোনোদিন তাঁর ঈশ্বর-বিশ্বাস বিচারের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।