ডিজে বাজায় নি, নাচতে না পেরে মেরে পুজো উদ্যোক্তারা মাথা ফাটালেন তৃণমূল প্রধানের স্বামী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুজোয় ডিজে (DJ) বাজবে না তাই কখনও হয় নাকি? ক্ষোভে ফেটে পড়েন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। আপাত্তি জানা। শুরু হয় কথাকাটি। ঘটনা গড়ায় মারামারিতে। বেপরোয়া নেতা মেরে মাথাই ফাটিয়ে দিলেন পুজো কমিটির সদস্যদের। এই ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। বুধবার প্রতিমা বিসর্জনের আগে ঘাটালের (Ghatal) মনসুকা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

মনসুকা ঘড়োইঘাট ব্যাবসায়ী পুজো কমিটি পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, দশমীর রাত্রে ঠাকুর বিসর্জন করার সময় হঠাৎই এসে হাজির হন মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাত্রি সাতিকের স্বামী প্রসেনজিৎ সাতিক। তিনি তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এসেই ডিজের সঙ্গে নাচার আবদার করেন তিনি। আবদার না মেটায় প্রসেনজিত বাঁশ হাতে ভাঙচুর চালান পুজো মণ্ডপে। ডিজে মাইক না বাজানোয় বাঁশ দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ২ পুজো কমিটি সদস্যের। তাকে বাধা দিতে গেলে আরও ২ জন আহত হন। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ৩ জন।

ঘটনার পর আহত তিন জনকে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ঘাটাল থানার পুলিস বাহিনী। এই তান্ডবের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার  সকাল থেকে মনসুকা ঘোড়ই ঘাটাল ব্যাবসায়ী সমিতির সমস্ত দোকান বন্ধ করে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের দাবি অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ সাতিককে উপযুক্ত শাস্তি দিতেই হবে। প্রসেনজিৎ এলাকার দাপুটে তৃণমূলের নেতা কিঙ্কর পন্ডিতের জামাই ও মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাত্রি পণ্ডিত সাতিকের স্বামী।

এদিন পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, রাত ৯টার সময় ঠাকুর নামানোর কথা ছিল। সাড়ে নটার মধ্য বিসর্জন হওয়ার কথা। ৯টার একটু পরেই প্রসেনজিৎ এসে হাজির হয়। এসেই বলেন, ডিজে কেন বাজছে না? ওকে বলা হয় ডিজে বাজানোর কোনও অনুমতিই নেই। এই কথা শুনে প্রসেনজিত্ বলে, ‘ডিজে বাজাতেই হবে। এখন আমি নাচব। ডিজে না বাজলে আমি কিছুতেই ঠাকুর নামাতে দেব না। এই বলে যারা ঠাকুর নামাচ্ছিল তাদের মারধর করতে শুরু করে। মার খেয়ে ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ঘাটাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সংবাদমাধ্যম এই বিষয়ে অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ সাতিক এবং তার স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধানের রাত্রী সাতিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মুখ খোলেননি। এই প্রসঙ্গে ঘাটালের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাজি বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে,এক্ষেত্রে দল কোনও দায় নেবে না। পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমিতিকে আবেদন, দোকানপাট খুলে রাখুন।’ দরকার হলে ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও জানান তিনি।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর