বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০২৩ সালেই বিধানসভা নির্বাচন (Rajasthan Assembly Election) কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে। ভারতীয় রাজনীতিতে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। দেশের অধিকাংশ রাজ্য থেকেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এরই মধ্যে কয়েকটি রাজ্যে টিমটিম করে জ্বলছে কংগ্রেসের বাতি। রাজস্থান তার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এখানেও রয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্বের কাঁটা। সেই কাঁটায় বারবার রক্তাক্ত হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস।
বিগত বেশ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ঘরে ভাঙন দেখা গিয়েছে। এবারও বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেহলট ও পাইলট দ্বন্দ্ব এল সামনে এল। রাজস্থানে নিজ সরকারের বিরুদ্ধেই এবার অনশনের ডাক দিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট (Sachin Pilot)। তাঁর এই ঘোষণার পর নির্বাচনের আগে ফের কংগ্রেসে বিপাকে পড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
জানা যাচ্ছে, কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট একদিনের অনশনের ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, বর্তমান কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আগামী ১১ এপ্রিল অনশন করবেন। তাঁর এই ঘোষণাকে ঘিরে ফের একবার গেহলট-পাইলট সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জলঘোলা শুরু হয়েছে। রাজস্থানে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রার সময় তাঁর উপস্থিতিতে অশোক গেহলট ও সচিন পাইলট এক মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন।
সচিন জানান, পূর্ববর্তী বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তদন্তের জন্য অশোক গেহলটের কাছে আবেদন করেন তিনি। তবে তাঁর কোনও উত্তর পাননি। সচিন বলেছেন, ‘বসুন্ধরা রাজের আমলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে এই দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলাম। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে আমিও কিছু অভিযোগ এনেছিলাম। আমি প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু বিরোধী দল হিসেবে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল। সেই কারণেই আমরা ক্ষমতায় এসেছি।’
গেহলটের বিরুদ্ধে তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন প্রায় দেড় বছর আগে গেহলটকে চিঠি লিখে জানান, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের আনা অভিযোগের তদন্তের জন্য এটাই সঠিক সময়। সচিন বলেন, ‘জনগণের কাছে দেখিয়ে দেওয়া উচিত, আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিই। তা করে দেখাই।’ তিনি আরও বলেন, গত বছর মার্চে ও নভেম্বরে দুটি চিঠি লেখার পরও এই নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। সচিনের অভিযোগ, কেন্দ্র যে সময় ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার করে কংগ্রেসের নেতাদের টার্গেট করছে তখন রাজস্থান সরকার নিজেদের সংস্থা ব্যবহার করে পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করছে না।’