ফের ভারত-চিন সংঘর্ষ! অরুণাচলে ৩০০ চিনা সেনাকে মেরে তাড়ালো ইন্ডিয়ান আর্মি, জখম অন্তত ৩০

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সীমান্তে আবারও ভারত ও চিন সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ (Indian-Chinese Troops Clash)। জানা যাচ্ছে, ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াং সেক্টরে (Tawang Sector) নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর ভারতীয় এবং চিনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন ভারতীয় ও চিনা সেনা আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিকভাবে এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ৩০০ জওয়ান এলএসি-তে পৌঁছে যায়। এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে ভারতীয় সেনারা। এ সময় দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান আহত হন। ভারতীয় সেনার তুলনায় চিনের বেশি সংখ্যক সেনা আহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সূত্রের খবর অল্প সময়ের মধ্যেই উভয় দেশের সেনারা ঘটনাস্থল থেকে পিছিয়ে আসে। ঘটনার পর ভারতীয় সেনার কমান্ডার এবং চিনা কমান্ডার নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী ফ্ল্যাগ মিটিং করেন। তারপরই এলাকায় শান্তি ফিরে আসে। আহত ভারতীয় সেনাদের তাওয়াং বেস হাসপাতাল ও তেজপুরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, চিনের লাল ফৌজ নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চলে আসে ভারতের দিকে। তখনই বাধা দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী, শুরু হয় সংঘাত। ২০২০ সালের জুলাই মাসে গালওয়ানের পর এই প্রথম মুখোমুখি সংঘাতে জড়াল দু’দেশের বাহিনী। সেবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন।

গালওয়ানের ঘটনার পর থেকে একাধিক বার বৈঠকে বসেছেন দু’দেশের সেনাকর্তারা। কিন্তু সমস্যার যে পুরোপুরি সমাধান হয়নি, অরুণাচলের ঘটনাই তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল।

তাওয়াং সীমান্তে চিনা বাহিনীর এই উৎপাত কিন্তু নতুন নয়। সেই ২০০৬ সাল থেকে এই সমস্যা চলছে। বরাবরই অরুণাচলের একাংশকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চিন। বারবার এই অংশে সংঘর্ষেও জড়ায় ভারত ও চিনের সেনা। ২০২১ সালে অক্টোবর মাসেও এই এলাকাতেই ঢুকে পড়েছিল বহু সংখ্যক চিনা সেনা। সেই সময়ও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। তবে সেবার এত মারাত্মক আকার নেয়নি সংঘর্ষ। এবারের সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েক জন ভারতীয় সেনা জখম। তাঁদের চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটির হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পরে টুইট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। মোদি সরকারের সমালোচনা করে তিনি লিখেন, ‘দেশের সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার চেয়ে তাদের নিয়ে রাজনীতি করতেই ব্যস্ত বিজেপি।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর