বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের একবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হলো রাজ্যের শাসক দলকে। এর আগেও একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা তুলে আক্রমণের সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। যার জেরে কখনও-সখনও বেশ অপ্রস্তুতিতে পড়তে হয়েছে শাসক শিবিরকে। এদিন ফের একবার আসানসোল জামুড়িয়া থেকে সামনে এল এ ধরনের একটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা। দেশ জুড়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম (Petrol diesel price hike)। এমনকি আমাদের রাজ্যেও লিটার প্রতি জ্বালানি পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে। একই রকম ঊর্ধ্বমুখী ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসও।
পেট্রোপণ্যের এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্র সরকারের (central government) বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। কিন্তু এবার সেই আন্দোলনেও পরল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের জামুড়িয়ায়। গতকাল অর্থাৎ রবিবার দুপুরে জামুড়িয়ার আকালপুর ব্রিজ থেকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল করে জামুড়িয়া এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। কিন্তু এই মিছিল ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক।
প্রতিবাদ মিছিলটি মন্ডলপুর পৌঁছাতেই দলেরই আরেকটি গোষ্ঠী চড়াও হয় এই মিছিলের ওপর। তাদের দাবি জামুড়িয়া এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে তাতে ডাক পাননি দলের পুরোনো কর্মীরা। বরং সদ্য বিজেপি এবং সিপিএম থেকে আগত কর্মীরাই মিছিল করেছেন। ব্লক সভাপতি সাধন রায়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরেই চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এমনকি ঘটনা গড়ায় মারামারির পর্যায়ে। যার জেরে ওই মিছিলে থাকা অন্যতম কর্মী শেখ সুখলাল মন্ডলের মাথাও ফেটে যায়।
সুখলালের দাবি, সৌরভ মাজি, মিহির আঢ্য, পিন্টু দত্তরা হামলা চালিয়েছে মিছিলে। অন্যদিকে টিএমসিপি ব্লক সভাপতি পিন্টু দত্তের দাবি, তারা শুধু প্রতিবাদ করেছিলেন। মিছিল শেষ হওয়ার পর অপরপক্ষে তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের তরফে মধুসুদন মাঝি, মিহির আঢ্যরাও গুরুতর আহত হয়েছেন। আপাতত দুপক্ষের তরফেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানাতে।