বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেই ২০২২ সালের আগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্ট। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে আমূল বদলে গিয়েছে জেলার রাজনীতি। কেটে গিয়েছে একটি পঞ্চায়েত নির্বাচন। সম্প্রতি বীরভূম (Birbhum) জেলার নতুন কোর কমিটির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বীরভূমের নানুর।
নানুরে অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠী ও অনুব্রত বিরোধী দাপুটে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ (Kajal Seikh) গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়েছে বিবাদ। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জেলা রাজনীতি। অভিযোগ, বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠীর চার তৃণমূল কর্মীর ওপর হঠাৎই কাজল শেখ গোষ্ঠীর লোকজন চড়াও হয়।
পাল্টা কাজল শেখ গোষ্ঠীর অভিযোগ তাদের ওপর চড়াও হয় অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠীর। বোমা, গুলি নিয়েও হামলা চালানো হয়েছে বলে দুপক্ষই অভিযোগ আনে। ঘটনায় দুপক্ষের সদস্যরাই আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার জেরে সাতজনেরও বেশি তৃণমূল কর্মীকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের চোট গুরুতর। কারও পা ভেঙেছে, কারও ফেটেছে মাথা।
বুধবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে বোলপুর নাহিনা গ্রামে। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরে বোলপুর থানার পুলিশ গিয়ে সবটা নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী হিসেবেই পরিচিত কাজল শেখ। যদিও অনুব্রত এখন জেলে। ওদিকে অনুব্রতর অনুপস্থিতে জেলা রাজনীতিতে ক্রমশ্যই জায়গা পেতে শুরু করেন কাজল। গত পঞ্চায়তে নির্বাচনে জেলা পরিষদ আসনে লড়াই করে জয়ীও হন তিনি। এর পরই তাকে সভাধিপতি করে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ‘শুধু ভাইপো নয়, জেলে যাবে মমতার ভাইঝিও, শুভেন্দুর এক দাবিতেই শোরগোল রাজ্যে
এদিকে মঙ্গলবারই বীরভূমের নয় সদস্যের কোর কমিটি ভেঙে ৫ সদস্যের কমিটি গড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয় নয়া কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন কাজল শেখ। যদিও ‘কাজল নিয়ে ভুল খবর প্রচার হচ্ছে’ বলে সাফ জানান মমতা। তবে এরপরও গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে থামার নাম নেই বীরভূমে।