ঘাসফুলে কোন্দল অব্যাহত! বেলেঘাটায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে চলল গুলিও, গ্রেফতার ২১

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খাস কলকাতায় (Kolkata) তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। রবিবার সকালে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেলেঘাটা (Beliaghata) চত্বর। শুধু তাই নয় ঘটনার জেরে চলল গুলিও। কলকাতা পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঠিক কি ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি তৃণমূলের অলকানন্দা দাসের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজু নস্করের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। রাজু নস্করের অভিযোগ, গতকাল সকালে একদল দুষ্কৃতী গিয়ে তার অফিস ও গাড়ি ভাঙচুর করে। তার অনুগামীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।

অন্যদিকে, পুর প্রতিনিধি অলকানন্দা দাসের পাল্টা অভিযোগ, শনিবার রাতে তার অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। তার প্রতিবাদ জানাতে সকালে কয়েকজন রাজু নস্করের অফিসে গেলে সেখান থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে বলেও দাবি কাউন্সিলরের।

tmc

গুলিতে গুলিতে পিন্টু দাস নামে এক ব্যক্তি জখম হন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন তিনি। পিন্টুবাবুর অভিযোগ, রাজু নস্করের অফিসের ভিতর থেকেই গুলি চালানো হয়েছে। যার জেরেই তার গুলি লেগেছে। তিনি আরও বলেন, শুরুর সময় থেকে তিনি তৃণমূল করেন। রাজু নস্কর আগে সিপিআইএম করত এখন তৃণমূলে রয়েছে

রাজুর দাবি, “কোনও বিজেপি, তৃণমূলের লড়াই নেই। প্রশাসনকে বলা হয়েছে। প্রশাসন দেখবে। আমাকে কেন দোষারোপ করা হচ্ছে? কিছু লোক এলাকা দখল করার জন্য তৃণমূলের ঝান্ডা ব্যবহার করে এ সব করছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রবিবারের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর