ভেনেজুয়েলায় জেল থেকে পলায়ন করা নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ৪৭ জন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: এখন দেশজুড়ে চলছে আতঙ্ক। চারিদিকে শুধু করোনা ভাইরাস যেন ত্রাহি ত্রাহি রব ফেলেছে। এর জেরে বিশ্ব তোলপাড়। এমন ভয়ানক পরিস্থিতে ভেনেজুয়েলায় একটি জেলে তুমুল সংঘর্ষের জেরে কমপক্ষে ৪৬ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভেনেজুয়েলার (Venezuela) পোর্টটুগেসা (Porttugesa) রাজ্যের কারাগারে।

ভেনেজুয়েলার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গুয়ানারের লস লিয়ানোস (Los Lianos) কারাগারে সহিংসতায় ৪৬ জন নিহত হয়েছে। কারারক্ষী ও গভর্নরসহ আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। কারাগার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ভেনেজুয়েলান প্রিজন অবজারভেটরির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, খাদ্য ও পানির সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল বন্দিরা। সরকারের দাবি, বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

jail

 

কারাগারের বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী সংঘর্ষে নিহত ও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পোর্টটুগেসা রাজ্যের আকারিগুয়া নামের ওই কারাগারে আড়াইশো বন্দি থাকতে পারেন। কিন্তু অন্য জায়গায় বন্দিদের রাখার ব্যবস্থা করতে না পেরে একসঙ্গে গাদাগাদি করে আকারিগুয়ার ওই জেলে প্রায় সাড়ে পাঁচশো বন্দিকে রাখা হয়েছিল।

ভেনেজুয়েলার এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, হঠাৎই বন্দি ও কারারক্ষীদের মধ্যে তুমুল গন্ডগোল শুরু হয়। মুহূর্তে সেই গন্ডগোল রূপ নেয় সংঘর্ষের। এমনকী সংঘর্ষ চলাকালীন জেলের মধ্যে বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গিয়েছে। কারারক্ষীদের ঘিরে ধরে বন্দিরা হামলা শুরু করে। পাল্টা প্রতিরোধ গড়তে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

jail 3

সম্প্রতি করোনাভাইরাসের (corona virus) বিস্তার প্রতিরোধে বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে ভেনেজুয়েলার কারাগারগুলোতে। নতুন বিধি অনুযায়ী স্বজনদের কাছ থেকে খাবার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসন্তোষ দেখা দেয় বন্দিদের মধ্যে। তাছাড়া লস লিয়ানোস কারাগারে আড়াইশো বন্দি থাকতে পারে। কিন্তু অন্য জায়গায় বন্দিদের রাখার ব্যবস্থা করতে না পেরে একসঙ্গে গাদাগাদি করে ওই জেলে প্রায় সাড়ে পাঁচশো বন্দিকে রাখা হয়েছিল।

ভেনেজুয়েলার কারামন্ত্রী আইরিস ভ্যারেলা সেদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কারাগারটিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কতজন মারা গেছেন তা নিশ্চিত করেননি তিনি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দিরা জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেছিল।

ওই সরকারি কর্তা আরও জানিয়েছেন, জেলে বন্দিদের খাবার দেওয়া নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। কারারক্ষী ও বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষই ক্রমে চরম আকার নেয়। সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধুই খাবার দেওয়া নিয়ে গন্ডগোল নাকি সংঘর্ষের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন (Administration)।


সম্পর্কিত খবর