গুপ্তধনের সন্ধান!সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রের আবিষ্কার ঘরাভর্তি রৌপমুদ্রা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রৌপ্যমুদ্রা চতুর্দশ শতকের ইলিয়াস শাহি যুগের সময়কার। জানা যায় পরমেশ্বরপুরে দীর্ঘ কয়েক শতক ধরে পুকুরপাড়ে মুদ্রাগুলি পোঁতা ছিল। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ জানিয়েছেন, ওই মুদ্রাগুলির ওপর লেখার ভাষা আরবি, লিপি নাশখ্।এ যেন এক অবিস্মরণীয় সন্ধান,যা এক লহমায় অতীতের স্বর্ণযুগের দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

আর দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসে সেই রৌপ্যমুদ্রাই আবিষ্কার করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বিশাল বৈশ্য। বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে ঘুরতে ঘুরতে কিছু একটা চকচক করতে দেখেছিল সে। প্রথমটায় বিশেষ গুরুত্ব না দিলেও কৌতুহলবশত খুঁজতে গিয়ে মাটি খুঁড়ে একটা তামার কলসি খুঁজে পেয়েছিল বিশাল।

তারপর স্বভাবতই আরও একটু খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে কাদা পরিষ্কার করে কলসির ভিতর হাত ঢোকাতেই বেরিয়ে পড়ে একের পর এক রৌপ্য মুদ্রা।এবার ঘটনার আকস্মিকতায় ছোটো ছেলেটির চোখে বিস্ময়ের ঘোর কাটেনা।সে উৎসাহে পুরো বিষয়টি জানায় দিদিকে।তবে ততক্ষণে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমুণ্ডির পরমেশ্বরপুর এলাকায় রটে যায়, পুকুর পাড়ে খোঁজ মিলেছে গুপ্তধনের।সেই খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসও। পুলিস মুদ্রাগুলি উদ্ধার করেছে।জানা যায় বাত্সল্যতায় ৪৬টি প্রাচীন রূপোর মুদ্রা খুঁজে পেয়েছে বিশাল।

সম্পর্কিত খবর