বাংলাহান্ট ডেস্ক : পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে (Higher Secondary School)। ক্লাসরুমের অভাবে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার। এদিকে নতুন ক্লাসরুম তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দের আবেদন করতে গিয়ে জানা যাচ্ছে, আগেই নাকি টাকা দেওয়া হয়েছে স্কুলকে। এদিকে স্কুলের (Higher Secondary School) দাবি, আদৌ কোনো টাকা আসেইনি। সব মিলিয়ে গণ্ডগোলের পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর-১ ব্লকের ভেটিয়াচণ্ডী হাইস্কুলে।
ঘরের অভাবে ক্লাস বন্ধ এই স্কুলে (Higher Secondary School)
বহুদিনের পুরনো স্কুলটিতে একসময় ছিল তিনটি ব্লক। কিন্তু একটি ভবন যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় সেটিকে পরিত্যক্ত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় দুটি ভবনে ছাত্রছাত্রীদের সব বিষয়ের ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কম্পিউটার, মিউজিক, নিউট্রিশনের মতো বিষয়গুলির ক্লাস মাঝেমধ্যেই বাতির হচ্ছে। আবার কখনো কখনো বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীদের। চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরাও।
বরাদ্দ টাকা গায়েব: স্কুলের (Higher Secondary School) প্রধান শিক্ষক তরুণকুমার শিট জানান, অন্তত ১০ টি ক্লাসরুম তৈরির জন্য ৮০ লক্ষ টাকা চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু মেলেনি সরকারি সাহায্য। উলটে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ সালে স্কুলকে (Higher Secondary School) নাকি ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার ৭৮৫ টাকা দেওয়া হয়েছিল স্কুল সংস্কারের জন্য। সেই টাকার হিসেব না দিলে নতুন করে অর্থ বরাদ্দ করা হবে না। প্রধান শিক্ষক বলেন, তিনি ওই স্কুলে এসেছেন ২০২১ সালে। তবুও বিভিন্ন নথি ঘেঁটে দেখেছেন যে কোথাও টাকা ঢোকেনি। সেকথা প্রশাসনকে জানাতেই নড়েছে টনক।
আরো পড়ুন : ‘আমার বাড়িতে ৪০ টা তুলসী গাছ আছে, সব জায়গায় লাগানো যায় না’, রবীন্দ্র নগর আবহে মুখ খুললেন মমতা
কী জানাল প্রশাসন: প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই টাকার হদিশ পেতে নাকি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিও রিপোর্ট দিয়েছে, টাকা স্কুলে (Higher Secondary School) পৌঁছায়নি উপরন্তু জেলা স্কুল পরিদর্শকও (মাধ্যমিক) রিপোর্ট দিয়েছে যে, জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি স্কুলকে (Higher Secondary School)। এরপর জটিলতা থেকে রেহাই পেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকেও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে নতুন ক্লাসরুমের প্রয়োজনীয়তার কথা।
আরো পড়ুন : সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য নয় পেট্রোল পাম্পের শৌচালয়, জোরাজুরি করা যাবে না, স্পষ্ট নির্দেশ হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, আপাতত ২৫ লক্ষ টাকা স্কুলকে বরাদ্দ করা হবে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনের তরফে। এতে ১০ টি তো দূরের কথা, অন্তত ১ টি ক্লাসরুম, ডাইনিং হল এবং ছাত্রীদের একটি শৌচালয় তৈরি করা যাবে। তবে এতে সমস্যা মিটবে না। স্কুলে ক্লাসরুমের অভাব। এদিকে শিক্ষক রয়েছে অতিরিক্ত। সাড়ে ৪০০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন ৩৩ জন। এর জেরে অশান্তিও হয় বেশি। প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, শিক্ষকদের বদলির জন্য শিক্ষা দফতরকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।