পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দু মেয়েদের অপহরণ, শোষণ ইত্যাদি নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানে হিন্দু ও শিখ মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরকরণ ও জোরপূর্বক মুসলিমদের সাথে বিবাহ দেওয়ার অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিছু দিন আগে এক শিখ পরিবারের এক মেয়েকে জোর করে পাকিস্তানের নানকানা সাহেবে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল এবং তার বিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক মুসলিম যুবকের সাথে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। তবে ইমরান খান কোনো সাহায্য করতে পারেননি।
এই ইস্যুতে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন আমিন্দার সিং এবং ইমরান খান উভয়ই একে অপরকে তীব্রভাবে টার্গেট করছেন। অমরিন্দর সিং টুইট করেছেন এবং লিখেছেন – “ঘটনার পরে বেশ কয়েক দিন কেটে গেছে, তবে ইমরান খান এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ জগজিৎ কৌরকে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।” আমি সেই ভুক্তভোগী মেয়েটির প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন জানাতে চাই। ক্ষতিগ্রস্থ ও তার পরিবার যদি পাঞ্জাবে থাকতে চান তবে আমি খুব খুশি হব।
এর পরে ইমরান খান ধর্মান্তরের থেকে শিখদের দৃষ্টি সরাতে আলতাকিয়া করে বলেছিলেন – “কর্তারপুর এবং নানকানা সাহেব ঠিক মুসলিমদের মক্কা ও মদিনার মতোই পবিত্র স্থান।” আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে এখানে আসা ভক্তরা কোনও প্রকার সমস্যায় পড়বেন না এবং তাদের সুরক্ষা দেব। এটি আমাদের সমর্থন নয়, তবে আমাদের দায়িত্ব। পাকিস্তানে দুই সপ্তাহের মধ্যে শিখ সম্প্রদায়ের দুই মেয়ে ধর্মান্তরের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে সোমবার দিল্লিতে শিখ সম্প্রদায় বিক্ষোভ করেছে। এসময় পাকিস্তান মুর্দাবাদ স্লোগানও দেওয়া হয়।