বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লীর অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal) সরকার এবার হংকং আর অন্য দেশের মতো দিল্লীর সাপ্তাহিক বাজার আর স্ট্রিট ভেন্ডরদের উৎসাহিত করবে। অরবিন্দ কেজরীবাল অনুযায়ী, দেশে সাপ্তাহিক বাজার আর স্ট্রিট ভেন্ডরদের সমস্যা হিসেবে দেখা হয়। তবে এগুলোকে গোটা বিশ্বে উৎসাহের সাথে করা হয়। উনি বলেন, আমরা এরকমই করব। সাপ্তাহিক বাজার খোলার জন্য আমরা অনেক প্রচেষ্টা করেছি, আর এরপরেই আমরা এই সফলতা অর্জন করেছি। মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বাজারের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে এই কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবার দিল্লীর সাপ্তাহিক বাজারের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলে শুধু দিল্লীই না, গোটা বিশ্ব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে করোনা আরেকদিকে, মানুষের কাজ বন্ধ। মানুষের আমদানির সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। উনি বলেন, এরকম আমেরিকাতেও হয়েছে। সেখানে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আর্থিকগতি কমে গেছে।
কেজরীবাল বলেন, আমরা সাপ্তাহিক বাজারকে এতটাই সংগঠিত করব যে, মানুষ এর দিকে আকর্ষিত হবে। চাঁদনী চৌকের উদাহরণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন এই বাজার কতটা ভালো আর সংগঠিত। চাঁদনী চৌকের গোটা নকশাই বদলে দেওয়া হয়েছে। এবার গোটা বিশ্ব সেখানে ঘুরতে আসবে। প্রথমে এই চাঁদনী চৌকেই প্রচুর ভিড় আর নোংরা ছিল। কিন্তু এখন অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে। উনি বলেন, এভাবেই দিল্লীর সাপ্তাহিক বাজার আর স্ট্রিট ভেন্ডরদের পরিকল্পনা মাফিক সংগঠিত করা হবে। এতটাই উন্নত করা হবে যে, আমেরিকা আর অন্য কোন দেশ থেকে পর্যটক আসলে এই সাপ্তাহিক বাজারে অবশ্যই আসবে।
উনি বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে সাপ্তাহিক বাজার খোলার জন্য আমরা অনেক প্রচেষ্টা করেছি। আর প্রচেষ্টার ফলেই আমরা সফল হতে প্রেছি। কেন্দ্র সরকার যেই জিনিষ খোলার অনুমতি দেয়, আমরা তখনই দিল্লীতে সেগুলো খোলার অনুমতি দিয়ে দিই। গোটা দেশে ১ লাজুন থেকে লকডাউন খুলেছে, আমরাও দিল্লীতে ১ লা জুন থেকে লকডাউন খুলে দিয়েছি। লকডাউন খোলার পর দিল্লীর পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছিল। দিল্লীতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়ে গেছিল। কিন্তু আমরা আর লকডাউন জারি করিনি।