বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওয়াকফ আইনের (WAQF Act) বিরুদ্ধে বাংলার নানান প্রান্তে প্রতিবাদ হচ্ছে। কয়েকদিন আগে অশান্ত হয়ে উঠেছিল জঙ্গিপুর। তার রেশ কাটতে না কাটতেই তেতে ওঠে আমডাঙা, মুর্শিদাবাদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অবশ্য ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজ্যে এই আইন কার্যকর হবে না। এই আবহে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সংখ্যালঘুদের কী করতে হবে, এবার সেটা বাতলে দিলেন তিনি।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বড় ‘পরামর্শ’ মমতার (Mamata Banerjee)!
বুধবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ইমাম, মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে শান্তি, সম্প্রীতি, ঐক্যের বার্তা দেন তিনি। সেই সঙ্গেই বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলন করে কী হবে? দিল্লিতে যান। দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছেও সময় চাওয়ার কথা বলেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘বাংলায় আন্দোলন করে লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চান। রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চান। প্রয়োজন পড়লে ট্রেনে যান, বিমানে যান। সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করুন। প্রয়োজন হলে রাস্তায় থাকবেন, ময়দানে থাকবেন। সব সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করুন’।
এক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance) শরিকদেরও পাশে থাকার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ার সব দলকেও আমি সঙ্গে থাকতে অনুরোধ করব’। একইসঙ্গে মমতা জানান, সংখ্যালঘুরা যদি দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা তাঁদের পাশে থাকবেন।
উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছিল। যদিও পশ্চিমবঙ্গে একাই লড়েছিল তৃণমূল। আগামী বছর বিধানসভা ভোটেও জোড়াফুল শিবির একাই লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। তবে কেন্দ্রের ইস্যুগুলিতে ইন্ডিয়া জোট যে একত্রে লড়বে, সেটা এদিন কার্যত স্পষ্ট করে দেন তিনি। ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পাশে থাকার জন্য জোটের শরিকদের আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিতর্ক সত্ত্বেও ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন। অনেকে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। বাংলার নানান প্রান্তে হচ্ছে প্রতিবাদ। এমতাবস্থায় বুধবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বড় বার্তা দিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। রাজ্যে অশান্তি করে কী হবে? বরং দিল্লিতে যাওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।