রাজীব মুখার্জী, হাওড়া-রাজ্যে পার্শ্বশিক্ষক রা যখন আন্দোলন প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন তখনই গেস্ট লেকচারার হোল টাইম কন্ট্রাকচুয়াল টিচার ও পার্ট টাইম টিচার দের জন্য দরাজ হস্ত মুখ্যমন্ত্রী।
আজ হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট রিভিউ মিটিং এ তিনি এই তিন শ্রেণীভূক্ত টিচারদের একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন এবার থেকে হল টাইম কন্ট্রাকচুয়াল টিচার পার্ট টাইম টিচার ও গেস্ট লেকচারার দের ডেজিগনেশন পরিবর্তন করা হচ্ছে। আজ থেকে তারা স্টেট হেডের কলেজ টিচার বলে পরিচিত হবেন।
এতে যেমন তারা চাকরি ক্ষেত্রে সম্মান পাবেন তেমনই পাবেন ভবিষ্যতের সুরক্ষা।এ ছাড়াও বেশ কিছুপারিপার্শ্বিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তারাও। বিশেষত এতদিন পর্যন্ত তারা ব্যাংক লোন পেতেন না কিন্তু এক ছাতার তলে নিয়ে আসার পরও তারা সেই সুবিধা পাবেন তবে ইউ জি সি প্রেসক্রাইব কোয়ালিফাইড ও ইউজিসি প্রেসক্রাইব নন কোয়ালিফাইড এদের জন্য আলাদা দুটি ক্যাটাগরি করা হচ্ছে।
ইউজিসি প্রেসক্রাইব কোয়ালিফাইড রা ক্যাটাগরি ১এ থাকবেন এই স্টেট এডেড কলেজ টিচার ক্যাটাগরি ওয়ান যারা ১০ বছরের উর্ধ্বে কাজ করছেন তারা ৩০ হাজার টাকা করে পাবেন এবং যারা ১০ বছরের কম এ রয়েছে তারা ২৬ হাজার টাকা করে পাবেন।
অন্যদিকে ইউজিসি প্রেসক্রাইব নন কোয়ালিফাই যারা তারা স্টেট এডেড কলেজ টিচার ক্যাটাগরি দুই তে থাকবেন।এদের মধ্যে যারা ১০ বছরের উর্ধ্বে কাজ করছেন তারা কুড়ি হাজার টাকা এবং ১০ বছরের কম হলে ১৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন। তবে দুটি ক্যাটাগরির মধ্যে যাদের ৩০ হাজার টাকার ঊর্ধে বেতন তাদের পে প্রটেকশন দেবে সরকার।
এর পাশাপাশি জেমুনারেশন প্রত্যেক বছর ৩ শতাংশ হারে বাড়বে। ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির নিশ্চয়তা পাবেন।গ্রাজুয়েট এর ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লক্ষ টাকা করা হবে। এমনকি রেগুলার টিচারদের মত নিয়মিত বদলির সুযোগও থাকবে।
এছাড়া তিনি সংযোজন করেন স্বাস্থ্য সাথী লিভ দেওয়া নিয়েও আলোচনা চলছে প্রশাসনিক স্তরে। উল্লেখ্য হোল টাইম কন্ত্রাকচুয়াল পার্ট-টাইম ও গেস্ট লেকচারার দের এতদিন কলেজ গুলি নিজেদের প্রয়োজনমতো নিয়োগ করত সে ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা দপ্তর এর অনুমতি লাগত না।
কিন্তু এবার থেকে উচ্চশিক্ষা দপ্তর এর অনুমোদন ছাড়া কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। আর এই টিচাররা সরকার নির্ধারিত ক্লাস নেবেন।