বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবাস যোজনার ক্ষেত্রে ‘একলা চলো নীতি’ অনুসরণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেন্দ্র টাকা দেয়নি, উপভোক্তাদের টাকা দিতে চলেছে রাজ্য। সেই কারণে এবার ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ (Pradhan Mantri Awas Yojana) নামটাও ব্যবহার করা হবে না! বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
পিএম আবাস যোজনা নয়, বাংলার বাড়ি! বড় ঘোষণা মমতার (Mamata Banerjee)
গতকাল নবান্ন থেকে এই নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নয়, বরং রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) নিজের টাকায় এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেই কারণে এবার থেকে বাংলার গ্রামীণ অঞ্চলে আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের দেওয়া নামই থাকবে। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ নয়, বরং ‘বাংলার বাড়ি’ নাম ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের শহরাঞ্চলের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প (Banglar Bari Scheme) আছে। এবার গ্রাম বাংলাতেও তার বিস্তার হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না, রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে। সেই কারণে রাজ্যের দেওয়া নামই থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ আচমকাই মাইক বন্ধ সজলের! পুরসভার অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট BJP কাউন্সিলরদের
মমতা (Mamata Banerjee) এদিন বলেন, ‘বাংলায় ৩৬ লক্ষ মাটির বাড়ি রয়েছে। আমরা এই বছর ১২ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা দেব। তার মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লক্ষ বাড়িও রয়েছে’। বাকি ২৪ লক্ষ বাড়ি পরে করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, আগামী ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মমতার (Mamata Banerjee) কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গরিব মানুষের বাড়ি বানানোর জন্য ৬০% টাকা কেন্দ্র দেয়। রাজ্যকে বাকি টাকা দিতে হয়। তবে প্রকল্পের নাম হয় শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নামে। এক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও পছন্দ থাকে না’। ‘বাংলার বাড়ি’র পাশাপাশি এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু প্রকল্প নিয়েও বেশ কিছু ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে রাজ্যের আরও ৫ লক্ষ ৭ হাজার মহিলাকে যুক্ত করা এবং কৃষক বন্ধু প্রকল্পে শুক্রবার থেকে টাকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানান তিনি।