বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার থেকে তাঁর তিনদিনের সফর (North Bengal Trip) শুরু হয়েছে। পাহাড়ে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার বিকেলে শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের সমস্যা-অসুবিধার কথা শোনেন মমতা। বহুক্ষেত্রে সমাধানও বলে দেন। সেখানেই ফের একবার তাঁর মুখে শোনা যায় তেলেভাজার দোকানের কথা। চপ, বেগুনি বিক্রি করে তিনতলা ফ্ল্যাট অবধি বানিয়েছে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
চপ-বেগুনি থেকে ঘুগনি-মোমোর দোকান! একাধিক পরামর্শ মমতার (Mamata Banerjee)
উত্তরবঙ্গে শিল্পের জোয়ার আনতে গতকাল শিলিগুড়িতে বিজনেস সামিটের (Business Summit) আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ৮টি জেলার একাধিক শিল্পপতি, উদ্যোগপতি হাজির হয়েছিলেন বলে খবর। সেই শিল্প বৈঠক থেকেই স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে তেলেভাজার দোকানের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথার সূত্রে, উজ্জ্বলা সিনেমা বিপরীতে থাকা ‘আপনজন’ নামের একটি দোকানেরও উদাহরণ দেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘কোনও মহিলা যদি ঘরে কাজ করেন, তাহলে কি বাইরের কাজ করতে পারেন না? আমি দার্জিলিংয়ে দেখেছি একটাই ঘর, কিন্তু বাইরে একটা দোকান খুলেছে। যাতে ওর সংসার চলতে পারে। এমন অনেক আইডিয়া আছে। আমায় এর জন্য অনেকে গালি দেন। সবাই নন, কয়েকজন বিরোধী। আমি যদি বলি, ছোট একটা দোকান খোলো, ছোট দোকানেও অনেক বড় কাজ হয়। আমি দেখেছি। জীবন থেকে শিখেছি’।
আরও পড়ুনঃ TMC-র ১২ জন নেতা-কর্মীকে নিয়ে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কাদের কপাল খুলল?
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেখানে থাকি, সেখানে একটা ছোট আলুর চপ, বেগুনি, ভেজিটেবল চপের দোকান আছে। আমি যে টেবিল নিয়ে বসে আছি, তার থেকেও কম জায়গায় সেই দোকান। কিন্তু ওরা এখন দু-তিনতলা ফ্ল্যাট বানিয়ে নিয়েছে। আমাদের ওখানে উজ্জ্বলা সিনেমার বিপরীতে আপনজন নামে একটা দোকান ছিল, আমি দেখেছি। ছোট একটা দোকান, কিন্তু কত টাকা উপার্জন করেছে আপনারা জানেন না’।
মমতা বলেন, একজন হকারও বাড়িতে চা, ঘুগনি বানিয়ে উপার্জন করতে পারেন। মজার ছলে বলেন, এখন তো চা আগের চেয়ে সস্তা হয়ে গিয়েছে। অনেকেই দুধ খান না, চিনি খান না। গ্রিন টি, কালো চা পছন্দ করেন। ফলে খরচও কমে গিয়েছে। তবে পাহাড়বাসী একটু বেশি মিষ্টি পছন্দ করেন বলে হাসতে হাসতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর মোমোর দোকানের পরামর্শ দেন তিনি।
মমতা বলেন, মোমো (Momo) বানানো বিশেষ কঠিন নয়। সেই সঙ্গেই তাঁর প্রশ্ন, ‘মোমোর দোকান কখনও খালি দেখেছেন? একটা চাউমিনের প্যাকেট নিন, মশালা মিশিয়ে দিয়ে দিন, হয়ে যাবে। দু’টো বেঞ্চ লাগান, কাগজের প্লেট, চামচ রাখুন আর খাবার বানানোর জন্য কিছু জিনিস রাখুন, দেখুন কী হয়’।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আগে দার্জিলিংয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটা চায়ের দোকানও পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন চিত্রটা খানিকটা বদলেছে। কয়েকটা চায়ের দোকান হয়েছে। তবে এখনও অনেক দোকান হতে পারে বলে দাবি করেন মমতা (Mamata Banerjee)। স্বল্প পুঁজিতে কীভাবে ব্যবসা শুরু করা যায়, এদিন সেই পরামর্শই দেন তিনি।