বাংলা হান্ট ডেস্ক : এক কথায় গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। যে ভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে গোটা দেশেই তাতে রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক চিত্র বদলে গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন রেল স্টেশন সড়ক পথ এবং রাস্তা অবরোধ করে যেভাবে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে তাতে বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দুষছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসির প্রতিবাদে সোম মঙ্গল ও বুধ এই তিন দিন ব্যাপী শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে পদযাত্রা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বহিরাগতরা রাজ্যে ঢুকে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লোকসভার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বহিরাগতরা রাজ্যে ঢুকল কী ভাবে? এই প্রশ্ন তুলেই মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দেওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি যদি বহিরাগতরাই এ রাজ্যে ঢোকে সেক্ষেত্রে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী পুরোপুরি ব্যর্থ এমনটাও মন্তব্য করেন অধীর।
অন্য দিকে সোমবার ডক্টর বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে পদযাত্রা শুরু করে জোড়াসাঁকো অবধি মিছিল শেষ হয়েছে আর সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আমার জীবদ্দশায় কোনও ভাবেই এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন রাজ্যে চালু করা যাবে না বলে জানিয়েছেন। এমনকি আত্মসমর্পণ না করার ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আর এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা দিতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বিল পাশের সময় ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে দলের আট সাংসদের বিরুদ্ধে তিনি কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন, এমনকি দলের ওই সমস্ত সাংসদদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করার দাবি তোলেন তিনি।