বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরেই জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূলের গুণ্ডা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে সরব হয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা। তবে বিগত এক মাস ধরে এই ঘটনায় সেরকম কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যা নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষও করেছেন বিস্তর। তবে অবশেষে তিনি নীরবতা ভেঙেছেন।
সোমবার আরামবাগ যাওয়ার পথে ডুমুরজলায় দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওখানে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের তো গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি সকালে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের ওখানে পাঠিয়েছিলাম। ওরা দেখে এসে রিপোর্ট দিয়েছেন।’ গ্রেফতারের কথা মুখ্যমন্ত্রী বললেন বটে, তবে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান আজও ‘ফেরার’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত হয় আজ থেকে প্রায় দেড় মাস আগে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছায় ইডি কর্তারা। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠতে পারেননি তারা। শাহজাহানের অনুগামীদের আক্রমণে রীতিমত আহত হয়ে ফিরে আসেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর থেকেই শাহজাহান পলাতক। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘আমি দুশ্চরিত্র, মহিলাবাজ’, সুস্থ হয়ে ফিরতেই শুরু বিতর্ক, স্বমহিমায় কবীর সুমন
শাহজাহানের অনুপস্থিতিতে বুক বল পায় সন্দেশখালির বাসিন্দারাও। শাহজাহান এবং তার দুই অনুগামী শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের করার অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করে সকলে। একটার পর একটা পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ধরাতে থাকে নিপীড়িত জনগণ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতেই উত্তম সর্দারকে তৃণমূল সাসপেন্ড করে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন : ‘ভারত মাতার জয়’, কাতার থেকে ফিরেই মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পাওয়া ৮ নৌসেনিক
গোটা রাজ্য জুড়ে এই নিয়ে হুলস্থুল চললেও এতদিন চুপ করেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এইদিন ডুমুরজোলা হেলিপ্যাডে পৌঁছনোর পর সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি যা বলার আরামবাগে গিয়ে বলব।’ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এদিন সন্দেশখালি গিয়েছেন শুনে মমতা বলেন, “যে কেউ যেতেই পারেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য শুনে অনেকেই মনে করছেন, এইদিনই হয়ত শাহজাহানকে নিয়ে মুখ খুলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।