‘ছোট্ট থেকে স্বপ্ন ছিল সেনায় যোগ দেওয়া’, আহত অবস্থাতেই নিজের আক্ষেপের গল্প শোনালেন মমতা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের সময় আহত হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তড়িঘড়ি হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমরে এবং পায়ে চোট পান তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপর বায়ুসেনার ঘাঁটিতে কপ্টারের জরুরি অবতরণ হয়।

সেখানে গোটা পরিস্থিতি সামালে আনে বায়ুসেনা এবং সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। যা দেখে বায়ুসেনা এবং সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তৃণমূল নেত্রী। তবে এখানেই শেষ নয়! এরপরই মমতা খোলসা করলেন বড় সিক্রেট। আহত অবস্থায় সেখানে দাঁড়িয়েই বললেন ছোট থেকে ভীষণভাবে সেনায় যোগ দেওয়ার স্বপ্ন (Mamata Banerjee’s Dream) ছিল তাঁর।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে প্রচারের জন্য গতকালই উত্তরবঙ্গ যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আজ জলপাইগুড়ি থেকে উড়ানের পরই দুর্যোগের কবলে মধ্যে পড়ে মমতার হেলিকপ্টার। বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির দরুন সেবকে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জরুরি অবতরণ হয়। সেই সময়ই নামতে গিয়ে কোমরে এবং পায়ে ভীষণ ভাবে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী।

এরপর তড়িঘড়ি ছুটে আসে সেনারা। মুখ্যমন্ত্রীকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় বায়ুসেনাঘাঁটিতে। পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে আসে। এরপর সেখানে বায়ুসেনা এবং সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। আর সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে সেনার তরফে।

সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা-বার্তার পাশাপাশি তাদের দুহাত তুলে প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন। সাধারণ কর্মী থেকে আধিকারিক, মাতৃভূমির জন্য আত্মবিসর্জন দিতে পিছপা হন না কেউ। দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা ওঁদের সম্মান করি। সকল যোদ্ধাকে সেলাম।”

mamata copter

সেনাদের কৃতজ্ঞতাও জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “কপ্টার জরুরি অবতরণ করার পর যে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন, তার পরেও যেভাবে আমাদের যত্ন করেছেন, কোনও দিন ভুলব না। ছোট্ট থেকে আমার স্বপ্ন ছিল সেনায় যোগদান করা। কিন্তু সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আজ অন্তত কাছ থেকে দেখার সুযোগ হল। গোটা বছর পরিবারকে পাশে পান না। মাতৃভূমিই এঁদের পরিবার হয়ে উঠেছে। আপনাদের সেলাম, মাতৃভূমিকে সেলাম।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর