বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) শনিবার ফের আসানসোল আদালতে পেশ করা হয় এবং তিনি সিবিআইকে (CBI) তদন্তে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন এমনটাই দাবি করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘সহযোগিতা করবে না এটাই স্বাভাবিক,চোর কোনদিনও পুলিশকে বা তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করেও না। তদন্তকারী সংস্থার দায়িত্ব সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার জন্য আঙ্গুলটা বাঁকা করতে হবে। তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’ প্রসঙ্গত এদিন আসানসোল আদালতে অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, ‘বাংলার মানুষের কাছে এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দুদিন আগে আমি যখন বোলপুরে ছিলাম সেখানকার সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস বারবার প্রমাণ করেছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একজন চোরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষ সেটাকে ভালোভাবে নেয়নি।
সাধারণ ব্যবসায়ীদের মুখ থেকে যে সব গল্প শুনেছি তাতে তোলাবাজি হয় তা জানতাম। কোটিতে তোলাবাজি হয়, দামী দামী গাড়ি তোলাবাজি করে নিয়ে নেওয়া হয় শুধুমাত্র মাদক কেসের ভয় দেখিয়ে তা আমরা ভাবতেই পারছি না। বাংলার কী অবস্থা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক একজন নেতা ডাকাতের থেকেও বড় অপরাধী হয়ে গিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বিশেষ আদালতের নির্দেশে আবারও চারদিনের সিবিআই হেফাজতে দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ আজই। তাই শনিবার ফের আসানসোলের আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআইয়ের দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বেআইনি সম্পত্তির হদিশ পেতে আরও জেরার প্রয়োজন। আদালতে এমনই আদালতে জানায় সিবিআই। মনে করা হয়েছিল অন্তত আরও চারদিন হেফাজতে নিতে পারে তারা। যদিও নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় বীরভূম তৃণমূল সভাপতির দাবি করেন, ‘কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সহযোগিতা করেছি। আমার কোনও বেনামী সম্পত্তি নেই।’ তারপরেই এদিন আসানসোল আদালত সিবিআইকে চারদিনের হেফাজত মঞ্জুর করে বলে জানা যাচ্ছে।