বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। তার আগে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া সমস্ত রাজনৈতিক দল। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। আর শাসকদলের ক্ষেত্রে সেই তোড়জোড় যেন সর্বাধিক পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর আগে রাজ্যের সাধারণ মানুষের অভাব–অভিযোগের কথা শুনতে শুরু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী। সম্প্রতি গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে তাদের সমস্যার কথা জানতে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচীর মাধ্যমে ‘দিদির দূত’রা পৌঁছে গিয়েছেন মানুষের দুয়ারে।
পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করেই ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচীর মাধ্যমে জন সংযোগে মেতে উঠছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেই শেষ নয়, এবার ফের শুরু হতে চলেছে ‘জনতার দরবার’ (Janatar Darbar)। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই জনতার দরবার শুরু হয়েছিল। তবে পরে অবশ্য করোনা কালে তা বন্ধ হয়ে যায়।
বহু ঝড়-ঝাপটা সামনে বর্তমানে স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। তাই এবার ফের শুরু হচ্ছে ‘জনতার দরবার’। কালীঘাটে (Kalighat) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকার রাস্তায় মিলন সংঘ ক্লাবেই এবার থেকে প্রত্যেক রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জনতার দরবার বসবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। ভোটের আগে সর্ব উপায়ে জনসংযোগ গড়ে তুলতেই এই কর্মসূচী।
আর কী জানা যাচ্ছে? মমতার পাড়ায় হওয়া এই ‘জনতার দরবার’র দায়িত্বে থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। গতকাল সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ডাক্তার সাংসদ শান্তনু সেন, বিধায়ক নির্মল মাজি, কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ আরও অনেক প্রথম সারির নেতারা।
‘জনতার দরবার’ নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” এখানে কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নেই। মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যের মানুষের।তাই যে কেউ এখানে এসে তার সমস্যা ও মতামত জানাতে পারবেন। মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা হবে। কোনও চিঠিপত্র দিতে চাইলেও দেওয়া যাবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে একের পর এক ভোট জয়লাভ করেও নানা উপায়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষদের সাথে জনসংযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার নেত্রীকে দেখা গিয়েছে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যেতে। যার সুফলও মিলেছে খাতায়-কলমে। আর এবারেও পঞ্চায়েত ও লোকসভা পূর্বে সেই পঞ্চায়েত আর লোকসভা পূর্বেও সেই পন্থাই অবলম্বন করতে দেখা গেল শাসকদলকে।