বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। হাইকোর্টে চলছে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা। যার দরুন কয়েক মাসে লাগাতার চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার অযোগ্য ব্যক্তির। অন্যদিকে কেলেঙ্কারি ইস্যুতে একের পর এক নাম উঠে এসেছে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর। জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক বিধায়ক। যা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল (Trinamool) শিবির। এই আবহে এবার এই নিয়ে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
শুধুই যে মুখ খুললেন এমনটাই নয়, এবার নাম না করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি বলেন, “আমাদের আইন-আদালতের নির্দেশ মানতে হয়, সেটা মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে বিজেপির কথায় অনেক ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গিয়েছে। আমি আগেও বলেছি, এখনও এই কথা বলছি। আদালতের উপর আমাদের পূর্ণ সম্মান রয়েছে। আদালতই পারে দেশকে রক্ষা করতে।”
ঠিক এরপরই কটাক্ষের সুরে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আদালতকে আমরা সম্মান করি ঠিকই তবে কারও চাকরি খেয়ে নেওয়া উচিত নয়। যদি কোনও ক্ষেত্রে কোনো ভুল হয়ে গিয়ে থাকে তবে তাদের একটা সুযোগ অন্তত দেওয়া উচিত। এটাও একটা পদ্ধতির মধ্যে পড়ে। ২ মিনিটে গ্রেফতার করে নেওয়া হচ্ছে, তিন মিনিটে চাকরি খেয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটাও মোটেও ঠিক হচ্ছে না।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। যাতে চাকরি না কেড়ে সকলকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের মমতার মুখে উঠে এল সেই একই প্রসঙ্গ। অন্যদিকে এদিন নাম না নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “চাকরি নিয়ে যে আজ এত বড় বড় কথা বলছে, মালদা, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলি তার দায়িত্বে ছিল। সেখানে চাকরি নিয়ে কী হয়েছে। পুরুলিয়ার কোটার চাকরি পূর্ব মেদিনীপুরে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি পরে জানতে পেরে বাধা দিই। আর সেই নাকি এখন বড়বড় কথা বলছে।” কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর সফরে গিয়েও এই একই কথা বলেছিলেন তৃণমূল সর্বাধিনায়িকা।