বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) ৪৯ তম জন্মদিন। স্বাভাবিকভাবেই এই বাঙালি কিংবদন্তিকে সকাল থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নানা মহলের কৃতিরা। এমনকি কাটোয়া, নবদ্বীপ ইত্যাদি অঞ্চল থেকে তার বাড়ির সামনে হাজির হয়েছিলেন অনেক দাদা সমর্থক। যদিও অন্যান্যবারের মতো এবছর তেমনভাবে সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেননি দাদা। করোনার কারণে সবটাই ছিল ‘ক্লোজড ডোর’। কিন্তু এবার সরাসরি তাকে বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে বেহালায় ‘মা চন্ডী ভবনে’ পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)।
এদিন সৌরভের হাতে তিনি তুলে দেন হলুদ পুষ্পস্তবক এবং মিষ্টি। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে (BJP) সৌরভ গাঙ্গুলীর যোগ দেওয়া নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও বিজেপি নেতারা চাইলেও রাজনীতি থেকে চিরকালের মতো এবারও দূরত্ব বজায় রেখেছেন সৌরভ। নানা জল্পনা সঙ্গী হলেও রাজনৈতিক জল্পনাকে সোজা ব্যাটে ‘বাপি বাড়ি যা’-র মতোই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের অনেকের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী আজ বাড়ি গিয়ে যেভাবে শুভেচ্ছা জানালেন তার মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে ছিল এক ধন্যবাদ জ্ঞাপনও।
যদিও রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক বরাবরই মধুর। ইডেনে গোলাপি টেস্টের সময়ও যথাযোগ্যভাবে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল রাজ্য সরকার। তাঁর অসুস্থতার সময় মুছে গিয়েছিল বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম ভেদাভেদ। যেমন খোঁজ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তেমনই ফোনে খোঁজ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তেমনি আবার দেখা করেছিলেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যও। যদিও সে সময়ে জল্পনার জাল বুনেছিল অনেকে। কিন্তু তা যে শুধুমাত্র জল্পনাই তা বেশ ভালভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন সৌরভ।
কম বেশি তিনি যে ক্রিকেট নিয়েই থাকতে চান ইঙ্গিত দিয়েছেন তাও। শোনা যাচ্ছে, এদিন মমতাও সৌরভকে জিজ্ঞেস করেন বাংলার জন্য তাকে কিভাবে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য সরকার। যদিও ৪৫ মিনিটের এই সাক্ষাতের কিছুই তেমন বাইরে আসেনি। তবে সকলের অনুমান টাইমিংয়ের গুন সৌরভের চিরকালের সঙ্গী। আর সেই টাইমিং দিয়েই এবারও সকলের সঙ্গে সু মধুর সম্পর্ক বজায় রাখবেন বাংলার দাদা। সব মিলিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের আগামী দিনগুলো আরও ভালো কাটুক এটাই এখন বার্তা সকলের।