বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবস যে বেশ কিছুটা আলাদা হতে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছিল এবার একুশে জুলাই পালিত হবে রাজধানীতেও। দলীয় কার্যালয়ে বসানো হবে বড় এলইডি স্ক্রিন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে এক প্রকার পর্যুদস্ত করে ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তারপর থেকেই টার্গেট বদলে দিল্লিকে পাখির যোগ করেছে তৃণমূল। শোনা যাচ্ছে সেই কথা মাথায় রেখেই আগামী একুশে জুলাই বেশ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি।
উল্লেখ্য, এই কর্মসূচিতে থাকতে চলেছে ভিন রাজ্যে তৃণমূলকে (TMC) আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্য। এর আগেই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে অন্যান্য রাজ্যেও জয়ের জন্য ঝাঁপাতে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শহীদ দিবসের ভাষণেও এর উল্লেখ করবেন মমতা। তারপর সংসদের বাদল অধিবেশনের মাঝেই তিনি দিল্লি যেতে পারেন বলেও খবর।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কিছুদিন আগেই অবিজেপি নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন পিকে (Prashant Kishore )। এই প্রশান্ত কিশোরই ছিলেন একুশের বিধানসভায় মমতার রণনীতিকার। আর তাই মনে করা হচ্ছে, এবার সেই অবিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মমতাও। শুধু তাই নয়, দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, কৃষক আন্দোলনের বেশকিছু নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। ইতিমধ্যেই বাংলায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে গেছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। তাই মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লী সফরে কৃষক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০২৪ এ লোকসভায় মোদীকে (Narendra Modi) হারানো যে সহজ হবে না একথা নতুন করে বলে দেবার কিছু নেই। এমনকি শিবসেনার অন্যতম বর্ষিয়ান নেতা সঞ্জয় রাউতও মনে করেন, মোদীর নামটাই যথেষ্ট, তাকে হারাতে গেলে বড় মুখ দরকার। এখন সেই মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠতে পারবেন কিনা সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তবে একুশের নির্বাচনে বাংলা জয়ের পর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মমতার গুরুত্ব চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।