বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তার তালিকার একেবারে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের প্রতি মাসে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। এবার এই প্রকল্পেই প্রতারণার (Cyber Fraud) অভিযোগ।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল কেনার ১০০০০ টাকা সহ আরও একাধিক প্রকল্পের টাকা আসল প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না এসে চলে যাচ্ছে সাইবার প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে। একের পর এক এমন ঘটনা ঘটছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এই ঘটনা সামনে আসতেই এবার বড় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, সরকারি পোর্টালে ঢুকে আসল প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের বদলে অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ঢুকিয়ে দিচ্ছে প্রতারকরা। ফলে সরকারি প্রকল্পের টাকা চলে যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে। এই ইসুতেই এবার তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। শুক্রবারই কড়া নির্দেশ দিয়ে এই ধরণের সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান হয় তা দেখার কথা বলেছেন মমতা। প্রতারণায় ঘটনায় কয়েকটি জেলা থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিআইডি-র হাতে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তে নেমেছে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ভিন রাজ্য থেকে এই ঘটনা ঘটছে। ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, রাজস্থানের আলওয়ার এবং বিহারের গয়া গ্যাং-র মতো কোনও গ্যাং এই চক্রের এর পেছনে হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা হাপিস হওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে গোয়েন্দারা। তার মধ্যে ৬৪টিতে অ্যাকাউন্টে পূর্ব মেদিনীপুরের পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল কেনার টাকা গিয়েছেও।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকে দশ গোল! ২০০ কোটির বেশি দুর্নীতি আর জি করে! সন্দীপের লাভ কত? পর্দাফাঁস করল CBI
জানা গিয়েছে বাজেয়াপ্ত করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির অধিকাংশই ঝাড়খণ্ড, বিহার, রাজস্থানের। প্রতারণার জন্য যে সকল পড়ুয়ারা টাকা হাতে পায়নি, তাদের দ্রুত ট্যাবের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।