বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি হোক বা গরু পাচার, গত বছর থেকে দুর্নীতির অভিযোগে (Corruption Allegations) একে একে জেলে গিয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick), ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) সহ বহুজনা গারদবন্দি। গ্রেফতারির পর এদের মধ্যে কোনও কোনও নেতার পাশে থেকেছে দল, আবার কাউকে নিয়ে মুখে কুলুপ। তবে এবার এই সক্কলকে নিয়ে একজোটে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ খুললেন বললে যদিও ভুল। এদিন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা বৈঠক থেকে রীতিমতো গর্জে উঠলেন।
আরও পড়ুন: ‘…আমার বাড়িও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিন’, ভরা এজলাসে রেগে লাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি
শুধুই যে এদের নাম মুখে আনলেন তেমনটাই নয় পাশাপাশি একের পর এক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারির পালটা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারিও শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। গরু পাচারের দায় কেন্দ্রের উপর ঠেলে মমতা বলেন, “গরু কাদের আওটায়, বিএসএফ। কাদের অর্গানাইজেশন? গরু সীমান্ত পাহারা দেয় কারা? বিএসএফ। কেন্দ্র। গরু আসে ইউপি, এমপি, রাজস্থান থেকে।”
কেন্দ্রকে ফালাফালা আক্রমণ
কেন্দ্রকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “আমি শুনেছি সবচেয়ে বেশি গরু আর কয়লার টাকা খায় বিএসএফ। কয়লা কাদের নিয়ন্ত্রণে? কয়লা ধুলেও যাবে না ময়লা। সি আই এস এফ থাকে ওখানে। তখন টাকা খায় না? গাড়ি পাসের সময় তোমরা টাকা খাও না? তখন কী খাও লজেন্স? এখন আমাদের অনেকে জেলে আছে তাই ওসব নিয়ে অনেক হাসাহাসি করছেন। খুব হাসছেন। পার্থ, মাণিক, কেষ্ট, বালু জেলে। যখন আপনারা থাকবেন না। তখন কোথায় থাকবেন? সেলে না জেলে?”
চারের বদলা আট
এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হওয়া চার নেতাকে নিয়ে মমতা বলেন, ” আজ কেষ্ট জেলে, পার্থ জেলে, মানিক জেলে, বালু জেলে। তাই হাসছেন আর ভাবছেন এটাই চলবে? আগামীদিনে কোথায় থাকবেন? যখন ক্ষমতা থাকবে না কোথায় যাবেন? ” এখানেই শেষ নয়, এরপর সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, “আমাদের দলের চার বিধায়ক (পার্থ, মানিক, বালু, জীবনকৃষ্ণ) হয়েছেন। ওরা যদি এদের জেলে রাখে, তাহলে আমি পুরনো কেস রিওপেন করে পাল্টা ৮ জনকে জেলে ভরে দেব।”
কণ্ঠে পার্থ
গ্রেফতারির পর বালু, কেষ্টর নাম হামেশাই শোনা গিয়েছে মমতার মুখে। তবে পার্থর নাম শুনলেও নিজেদের দশ হাত দূরে রাখতেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারা। এই প্রেক্ষাপটে বহুদিন প্রায় একবছর পর মমতার মুখে পার্থর নাম উঠে আসার বিষয় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।