বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটে (Loksabha Vote) জয়ের পর সরকারি কর্মীদের জন্য একের পর এক ঘোষণা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মন ভালো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তবে এবার রেগে লাল মমতা। এল বিরাট নির্দেশ।
লোকসভা ভোটে বাংলায় ২৯ খানা আসনে জিতেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। রাজ্যে এখন খুশির হাওয়া শাসকশিবিরে। তবে এরই মাঝে
মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে থেকে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্যু ছিল, কার মারফত ভেতরকার কথা বাইরে স্প্রেড হচ্ছে? একটু খুলে বলি, গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অনেক সময়ই বলেছেন, নবান্ন (Nabanna) থেকে কালীঘাট সব জায়গাতেই তার লোক আছে। তারাই তাকে ‘হাঁড়ির খবর’ দেন। এই নিয়েই এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুভেন্দু নাম মুখে না নিলেও এল কড়া বার্তা।
এদিনের নবান্ন বৈঠকের প্রথম থেকেই মেজাজ চড়া ছিল মমতার। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে সাফ নির্দেশ দিয়েছেন, তার ঘরে ঢুকলে যেমন সবাই মোবাইল বাইরে রেখে ঢোকেন, তেমনই এবার থেকে অর্থ ও স্বরাষ্ট্র দফতরে ঢোকার সময়ও বাইরে রেখে ঢুকতে হবে। এতদিন এই কাজ কেউ করতেন না।
নবান্নের পাশাপাশি এদিনের বৈঠকের খবরও যাতে বাইরে না যায়, সে দিকেও নজর ছিল মমতার। জানা গিয়েছে বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেন এখানে যারা মোবাইল নিয়ে আছেন, তারা কেউ কিছু রেকর্ড করবেন না। কী করে ভেতরকার খবর বাইরে যাচ্ছে এই নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘ভয়ঙ্কর’ যন্ত্রনা! ‘সাত দিনের মধ্যেই বিরাট অপারেশন..,’ কী হয়েছে মহুয়ার?
সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে মমতা বলেন, সব খবর বাইরে চলে যাচ্ছে। নবান্নে সিসিটিভি আরও জোরদার করুন। সার্ভিলেন্স হচ্ছে না। এই সমস্ত বিষয়ে নজর দেওয়ার পাশাপাশি সিনিয়র আইপিএস অফিসার মনোজ ভার্মাকে ডেকে মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ডিজি রাজীব কুমারও। বর্তমানে তিনি তথ্য ও প্রযুক্তি সচিবের দায়িত্বে। সূত্রের খবর, তাকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ‘রাজীব তুমি আইটিতে বসে কী করছ? আইটি মানে তো তথ্য ও প্রযুক্তি। সার্ভিলেন্স রাখতে হবে। সব খবর রাখতে হবে তো! গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর কড়াকড়ি দেখে অনেকেই নাকি গুটিসুটি মেরে বসেছিলেন।