বাংলা হান্ট ডেস্ক : চীন থেকে আগত করোনা ভাইরাসের থাবায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব।বিশ্বের উন্নতশীল দেশগুলিতেও দাপিয়ে নিজের দাপট দেখিয়েছে কোভিড ১৯। মার্চ মাসে ভারতেও প্রবেশ করে করোনা ভাইরাস। তাই সংক্রমণ এড়াতে গত 23 শে মার্চ থেকে গোটা দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই সিদ্ধান্তের তার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে প্রত্যেকটি রাজ্যের রাজ্য সরকার। প্রথমে 15 দিনের ইঙ্গিত দিয়ে লকডাউন শুরু হলেও শেষে তা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে প্রায় আড়াই মাসে। তারপর বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে গত ৮ ই জুন থেকে রাজ্যজুড়ে লকডাউন শিথিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার পর ফের জুলাই মাস জুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর বাসের যে কয়টি আসন সেই কয় জন যাত্রীকে নিয়েই বাস চালানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবে সেদিন থেকেই ওঠে অভিযোগের পাহাড়, হয়তো বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের থেকে, সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না, নয়তো ঘন্টা ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে দেখা মিলছে না কোনো বেসরকারি বাসের।
সম্প্রতি, অফিস যাত্রীদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে বাস মালিকদের 15 হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাবেও রাজি নন বেসরকারি বাস মালিকেরা। তাই আজ বেসরকারি বাস মালিকদের হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
আজ তিনি বলেন,” বুধবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি বাস মালিকদের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাস না নামালে মহামারী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। সব বাস দখল করবে সরকার। তারপর সরকারই চালকদের নিয়োগ করবে। আর মানুষের জন্য সেই বাস চালানো হবে। 27 কোটি টাকা বাস মালিকদের ভর্তুকিও দিতে চেয়েছিলাম “বলে মনে করান মমতা।বেসরকারি বাস মালিকদের এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।