দেশের বৃহত্তম কয়লা খনি অবস্থিত বীরভূমের দেওচায়৷বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার সেই কয়লা খনির দায়ভার তুলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের হাতে৷ শীঘ্রই সেই কয়লা খনি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দেওয়ার এই কয়লা খনি চালু হলে বাংলার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বুধবার সরকারি আধিকারিক এবং জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিনের বৈঠকে দেউচা পাঁচামি খনি থেকে কয়লা উত্তোলন নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি এই কয়লাখনি চালু হলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মানুষ ভীষণ উপকৃত হবেন তার মধ্যে রয়েছে বীরভূম বর্ধমান ও হুগলি৷
আগামী সপ্তাহে এই কয়লাখনি নিয়েই মৌ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা৷ বীরভূমের ওই কয়লা খনি চালু করতে সময় লাগবে বেশ কয়েকটা বছর, কারণ পাথর কেটে কয়লা বের করে তার পর উত্তোলন করা হবে৷ তাই সময় নিয়েই কাজ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে যে জমির ওপর ওই কয়লা খনিটি অবস্থিত সেখানে এখনও অবধি চার হাজার মানুষের বসবাস৷ তাই ওই সমস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তবেই কাজ শুরু করার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের কয়লা সংক্রান্ত সমস্যা চলে আসছে৷ তাই বীরভূমের ওই কয়লা খনি চালু হলে আগামী পঞ্চাশ বছরের জন্য রাজ্যের কয়লা সমস্যা মিটে যাবে বলেই আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী৷ এক দিকে যেমন কয়লার সমস্যা মিটবে অন্যদিকে আর্থিক দিক দিয়েও সুরাহা হবে বলেই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷