বাংলা হান্ট ডেস্ক : শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আজ সে পড়েছিল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। যদিও আগে থেকেই সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যাপারে মতসজীবীদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল একই সঙ্গে ঝড় মোকাবিলায় সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিন্তু তাতেও মৃত্যু আটকানো যায়নি। ফ্রেজারগঞ্জের পাতিবুনিয়ার কাছে নোঙর করা ট্রলার গুলির মধ্যে চারটি ট্রলার ঘূর্ণি ঝড়ে ডুবে যায় আর এতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ওই ট্রলারের মধ্যে থাকা মতসজীবী সঞ্জয় দাস, যদিও এখনও অবধি নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।
তাই সোমবার কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক সেই নামখানায় ট্রলার ডুবিতে নিহত সঞ্জয় দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কাকদ্বীপ ছাড়ার আগে প্রশাসনিক বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকেই দেখা করতে এসেছিলেন আর তোমাদের মধ্যে ছিলেন নিহত মত সচিব সঞ্জয় দাসের স্ত্রী ও তাঁর দুই কন্যা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন নিজে নিহত সঞ্জয় দাসের স্ত্রীর হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন একই সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সঞ্জয় দাসের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
ভিড়ের মধ্যে থেকেই সঞ্জয় যাচ্ছেন স্ত্রীর কোল থেকে তাঁর মেয়েকে কোলে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। শিশুদের মাথায় হাত দিয়ে শান্তনা দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উল্লেখ্য এ দিন হেলিকপ্টারে করে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে, একই সঙ্গে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। র আগেই নিহতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্য দিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় মালিক পক্ষকে দায়ী করেছেন মত্স্যজীবীদের পরিবাররা,তাঁরা জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা জারি হওয়ার পর ট্রলার গুলিকে ফিরিয়ে আনলেও মালিক পক্ষের চাপে মত্স্যজীবীরা ট্রলারের মধ্যেই থেকে গিয়েছিলেন আর তাতেই প্রাণ হারাতে হয়েছে। একই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে কু সংস্কারের কারণে ট্রলারগুলোকে কোনও ভাবেই মালিকপক্ষ তীরের কাছে ঠেকাতে দেয় না, এমনকি মাছ নিয়ে না ফিরলে মাটিতে না নামার নির্দেশ দেয় মালিক পক্ষ। জানিয়েছে নিহতদের পরিবার।