বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতায় বায়ু দূষণের কথা মাথায় রেখে ইলেকট্রিক বাস চালানোর পরিকল্পনা সফলভাবে রূপায়িত হয়েছে ইতিমধ্যেই। যদিও তার সংখ্যা এখনও যথেষ্ট কম, তবে আগামী দিনে ইলেকট্রিক বাসের সংখ্যা আরও বাড়াতে উদ্যোগী প্রশাসন এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এবার ফের একবার পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরেই কলকাতায় শুরু হতে চলেছে সিএনজি বাসের যাত্রা।
এর আগেই ২১ জুন পরিবহন মন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যের সঙ্গে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির চুক্তি হয়েছিল সিএনজি বাস নিয়ে। ফিরহাদ তখনই জানিয়েছিলেন, বেসরকারি বাসের জন্য আগামী ৬ মাসের মধ্যেই ফিলিং স্টেশন তৈরি করবেন তারা। এতে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কমবে এবং পেট্রোল-ডিজেলের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি থেকেও কিছুটা রেহাই পাবেন মালিকরা।
সেই সূত্র ধরেই আজ কলকাতায় প্রথমবার যাত্রা শুরু করবে সিএনজি বাস। আপাতত দুটি বাসের ট্রায়াল রানের উদ্বোধন সম্পন্ন হবে। বাস গুলির উদ্বোধন করবেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুধু তাই নয় ছয় মাসের মধ্যে প্রথম সিএনজি গ্যাস স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হলে আগামী দিনে হাওড়া, সল্টলেক, নীলগঞ্জ, ঠাকুরপুকুর, বেলঘড়িয়া, সাঁতরাগাছি, করুনাময়ীতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন তৈরি করবে রাজ্য।
পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য মূলত ইলেকট্রিক বাসের দিকে হলেও সিএনজির দূষণ ডিজেল চালিত গাড়ির তুলনায় অনেকটাই কম। তাই কলকাতাকে আগামীদিনের সবুজ করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দূষণের ক্ষেত্রে কলকাতা এই মুহূর্তে খুব স্বস্তিজনক পরিস্থিতিতে নেই দিল্লি, মুম্বাই, লখনৌয়ের মত শহর গুলির সঙ্গে এক্ষেত্রে তুলনা চলে কলকাতার। গতবছর বায়ুদূষণ কিছুটা কমলেও এবছর তা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৩ µg/m3-তে। সুতরাং উদ্বেগের কারণ রয়েছে যথেষ্ট। এখন আগামী দিনে সিএনজি বা ইলেকট্রিক বাসগুলি কতটা দূষণ কমাতে সাহায্য করে সেদিকে নজর থাকবে সকলের।