বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথায় বলে কোনো কাজই ছোট নয়, যতক্ষণ সেটা সৎ ভাবে করা হচ্ছে। এই প্রবাদবাক্যকেই মন থেকে মেনে নজির গড়লেন অভিনেতা শ্রীকান্ত মান্না (srikanta manna)। দু বছর ধরে চলা করোনা অতিমারীতে বহু মানুষ হারিয়েছেন কাজ। বিশেষ করে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে সমস্যাটা অনেকটাই প্রকট। কর্মহারাদের তালিকায় রয়েছে শ্রীকান্তবাবুর নামও।
কিন্তু তিনি হা হুতাশ করে বাড়িতে বসে থাকেননি কিংবা হাতও পাতেননি কারোর কাছে। সব পেশাকেই সম্মান জানান শ্রীকান্তবাবু। সংসার চালাতে তাই আজ তিনি মাছ বিক্রেতা। ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর বারোটা-একটা পর্যন্ত প্রতিদিন বাজারে বসেন মাছ নিয়ে। আগে যে সংসার চলত অভিনয় থেকে হওয়া আয়ে এখন তা চলে মাছ বিক্রির টাকায়। তারপর দুপুরে বাড়ি ফিরে অঢেল সময়। দিব্যি আছেন শ্রীকান্ত বাবু। অভিনয় জীবনে ফেরার আশাও ছাড়েননি তিনি। তাঁর বিশ্বাস, একদিন না একদিন সুসময় ফিরবেই। সেদিন আবার ডাক পাবেন তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবার বা নাটকের মঞ্চে ওঠার।
দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিনয় জীবন শ্রীকান্ত মান্নার। সিরিয়াল থেকে সিনেমা সর্বত্রই নিজের অভিনয় প্রতিভা দেখিয়েছেন তিনি। বাদ নেই নাটকও। গত ২৫ বছর ধরে সংস্তব নাট্য দলে অভিনয় অভিনয় করছেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, মিঠুন চক্রবর্তী বা আবির চট্টোপাধ্যায়, প্রথম সারির প্রায় সব অভিনেতাদের সঙ্গেই কাজ করেছেন শ্রীকান্ত বাবু। অভিনয় শুধু তাঁর পেশা নয়, ভালবাসাও বটে। কিন্তু পেট যে মানে না।
শ্রীকান্ত বাবুর কথায়, আজ যদি ক্যামেরার সামনে কোনো মাছ বিক্রেতার চরিত্রে অভিনয় করতে হত তাঁকে আর তিনি যদি সংকোচ করতেন তাহলে তো পরিচালকই তাঁকে সরিয়ে দিতেন। তাহলে বাস্তবে কেন লজ্জা পাবেন তিনি?শ্রীকান্ত মান্নার গল্প শুনে কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও (sreelekha mitra)।
অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘না কোনো কাজ ছোট নয় ঠিক। তবু প্রশ্ন তো কিছু থেকেই যায়। আর হ্যাঁ প্লিজ আহা উহু করবেন না। দানের বা ভাতার টাকায় চলছেন না, পরিশ্রম করে নিজের সংসার চালাচ্ছেন এই শিল্পী। আপনাকে শ্রদ্ধা জানাই কমরেড।’