কয়লা ও গোরু পাচার কান্ডে এবার CBI এর নজর পুলিশের দিকেও। রাজ্যের ৬ পুলিশ আধিকারিককে নোটিশ দিয়ে তলব CBI এর। এদের মধ্যে একজন DSP রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বাকিরা SI ও ASI পদমর্যাদার। প্রত্যেককেই সপ্তাহান্তে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। CBI জানিয়েছে, এই আধিকারিকদের সাথে পাচার চক্রের যোগসাজশের তথ্য তাদের হাতে রয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরেই কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। আসানসোলে ২৪ ঘণ্টা থাকছেন গোয়েন্দারা। এই কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল পাণ্ডা লালার খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই কর্তারা। গত সোমবার সকালে তাকে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়ে লালা জানিয়ে দেয় সে অসুস্থ। কিন্তু গোয়েন্দাদের অনুমান সে অসুস্থ নয়। ইতিমধ্যেই সে হয়তো রাজ্যের বাইরে চলে গিয়েছে এবং দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছে। সেই কারণেই তার নামে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। পাশাপাশি, লালার সহযোগী ব্যবসায়ী নিরজ সিংকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে সিবিআই।
অন্যদিকে, গরু পাচার কাণ্ডে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে সীমান্তে পোস্টেড কর্মীদের তালিকা সিবিআইকে পাঠাল বিএসএফ। কয়েক সপ্তাহ আগেই গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর থেকেই বিএসএফের আর কেউ এই কাজে জড়িত ছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্যেই কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহ খুব শীঘ্রই গ্রেফতারি এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে বিদেশে পালাতে পারে লালা। সেই কারণেই তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে। দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে লালার ছবি পাঠানো হয়েছে। কোথাও তাকে দেখতে পেলেই সিবিআইকে খবর দিতে বলেছেন গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হক ও BSF জওয়ান সতীশ কুমারকে জেরা করে অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আজ সকালে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর বাড়িতে তল্লাশি করে CBI। বিনয় মিশ্রর লেকটাউনের ফ্ল্যাট, রাসবিহারী গুরুদ্বারার পিছনের বাড়ি আর চেতলার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এবার এই কান্ডে পুলিশ আধিকারিকদের তলব করে খুব শিগগিরই এই কান্ডের পর্দাফাঁস করতে চলেছে CBI. এমনটাই মনে করছেন অনেকে।