বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের জের! কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling) ইডি (Enforcement Directorate) তলব করলেও ফের হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। ১৯ জুন অর্থাৎ আজ মলয়বাবুকে দিল্লির সদর দফতরে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তবে এবারেও হাজিরায় গেলেন না মন্ত্রী।
সূত্রের খবর, মন্ত্রীর তরফে গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে, সামনে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। হাতে মাত্র কিছুদিনের সময়। বর্তমানে তিনি প্রচারের কাজে জেলা সফরে ব্যস্ত। তাই এই মুহূর্তে দিল্লি (Delhi) যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ তারিখ মলয় ঘটককে নোটিস পাঠিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ইডি। ঘটনাচক্রে সেদিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকেও তলব করা হয়। জানা যায় , আদালতের নির্দেশ ছিল যে সময় নিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটককে ডাকতে হবে। প্রথম ২ বার সময় না দিলেও, তৃতীয়বার মেল করলে সময় দেন আইনমন্ত্রী। সেই মতোই ১৯ তারিখ মলয়বাবুকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে প্রচারে ব্যস্ত থাকায় তিনি দিল্লি যেতে পারলেন না বলে জানিয়েছেন। যদিও পরবর্তী সময়ে ইডিকে তদন্তে সাহায্য করার কথাও জানান মন্ত্রী। উল্লেখ্য, এনিয়ে বেশ কয়েকবার ইডির তলব এড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী। এই নিয়ে এরপর কী পদক্ষেপ হতে পারে ইডির?
জানিয়ে রাখি, তদন্তকারী সংস্থা যাকে হাজিরার জন্য ডাকবে তাকে যেতে হবে। না গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারবে ED। সেক্ষেত্রে ইডির কি পদক্ষেপ হতে পারে? ইডি তাকে অন্য তারিখ দিয়ে সুযোগ দিতে পারে। আবার নাও দিতে পারে। তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারেন। আবার যদি মলয়বাবুর কোনও সমস্যা থাকে তবে তিনি তদন্তকারী সংস্থার কাছে নতুন তারিখ চাইতে পারেন। এরপর তদন্তকারী অফিসাররা যে রকম বুঝবেন সেরকম পদক্ষেপ করবেন।
যদি তারা মনে করেন যে তিনি শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর জন্যই এই কাজ করছেন তবে তাকে গ্রেফতারির জন্য আদালতের কাছে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদনও করতে পারেন। কারণ ইডির অ্যারেস্ট করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে এই সমস্ত কিছুই আশঙ্কা মাত্র। এরপর তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী পদক্ষেপ নেয়, সেটা বোঝা যাবে সময় এলেই।