বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় (west bengal) নির্বাচনের পূর্বে কয়লা পাচার কান্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে। দোষীদের গ্রেফতারির জন্য তল্লাশি চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে উদ্ধার করা নথি থেকে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে রাজ্যের প্রায় ১০০টি থানার অফিসার ইনচার্জের নাম পাওয়া গিয়েছে। সেইসঙ্গে উঠে এসেছে বেশ কিছু ওসির ‘মাসোহারা’ পাওয়ার বিষয়ও।
কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে এখনো অধরা। এবার এই কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্তকে খুঁজে পেতে মাঠে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি। তাদের ধারণা এই ঘটনার সঙ্গে দুবাইয়ের স্পষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে টাকাও পৌঁছে যেত দুবাইয়ে। পাশাপাশি ইসিএল, সিআইএসএফ, রেলকর্মীরাও এই ঘটনায় যুক্ত বলে সন্দেহ তাদের।
তদন্তে নেমে লালা-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙুর এবং লেকটাউনের ৩টি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সেই সঙ্গে রানিগঞ্জ, আসানসোল, গাড়িয়া, শ্রীরামপুরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং ইসিএল কর্মীদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য যেসকল ওসিরা ‘মাসোহারা’ পেতেন, সেই তালিকায় নাম রয়েছে তালিকায় বীরভূম, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল কমিশনারেট, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার ওসিদের। যেখানে ইটভাটা রয়েছে, সেখানকার ওসিরা কয়লা থেকে মাসোহারা পেতেন।