কমোড থেকে উঠে আসছে বিষধর কোবরা! ভাইরাল ভিডিও দেখলে বাথরুমে যেতে ভয় পাবেন

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাপ (Snake) হল এমনই একটি সরীসৃপ যেটিকে ভয় পান না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন। আবার সেই সাপ যদি বিষধর হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। তাই, বিপদ এড়াতে সাপের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতেই পছন্দ করেন সকলে। তবে, সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেটি জানার পর শিউরে উঠবেন প্রত্যেকে। শুধু তাই নয়, এই সংক্রান্ত একটি হাড়হিম করা ভিডিও (Viral Video) ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। যেটিতে দেখা গিয়েছে যে, টয়লেট কমোডের মধ্যে থেকেই বেরিয়ে আসছে বিশালাকার কোবরা।

ওই ভিডিওটি প্রত্যক্ষ করে সাহসী মানুষদেরও ভয় লাগতে বাধ্য। কোবরার মতো বিশালাকার বিষাক্ত সাপও যে টয়লেট কমোডের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারে তা অনেকেই কল্পনাও করতে পারেননি। আর এই শিউরে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরে। যেখানে বিখ্যাত সাপ উদ্ধারকারী রাজেশ জাটকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কমোডের ভেতর থেকে একটি কোবরাকে উদ্ধার করতে দেখা গেছে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ভিডিওটি নেটিজেনদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, রাজেশ অত্যন্ত সাবধানে কমোড থেকে ওই কোবরাটিকে বের করে আনার চেষ্টা করেন। একটি সরু জলের পাইপ দিয়ে ওই বিষধরের মুখের সামনে তিনি জল দিতে শুরু করার পরেই ধীরে ধীরে ওই সাপটি পাইপের জল অনুসরণ করতে করতে বাইরে বেরিয়ে আসে। তারপর সাপটির লেজ বেরিয়ে আসার সাথে সাথেই তিনি তৎক্ষণাৎ সেটিকে হাতে ধরে নেন।

আরও পড়ুন: সেমিতে না খেলে ডায়রেক্ট ফাইনাল চলে যাবে ভারত! কীভাবে সম্ভব? সমীকরণ দেখে ভয় পাচ্ছে ইংরেজরা

তারপরে তিনি ওই কোবরাটিকে বের করে আনেন বাড়ির বাইরে এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সাপটিকে ব্যাগবন্দি করে ফেলেন। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত এই ভিডিওটি ৬৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। পাশাপাশি লাইক করেছেন, প্রায় ৪২ হাজার জন।

আরও পড়ুন: ওস্তাদের মার শেষ রাতে, ইস্টবেঙ্গলকে বড় ঝটকা দিল মোহনবাগান! মন খারাপ লাল-হলুদ শিবিরের

শুধু তাই নয়, ভিডিওটিকে প্রত্যক্ষ করে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। এই প্রসঙ্গে একজন জানিয়েছেন, “আপনি সত্যিই প্রকৃত সাহসী মানুষ।” পাশাপাশি আরেকজন লিখেছেন, “টাকা দিলেও অনেকেই এই কাজ করার সাহস পাবে না।” একজন আবার মজার মন্তব্য করে জানান, “আপনি মনে হয় ভয় পেতে ভুলে গেছেন।” অন্য আরেকজন লিখেছেন, “এটা সত্যিই দুঃস্বপ্ন!” তবে, কমোড থেকে যেভাবে দক্ষতার সাথে রাজেশ ওই কোবরাটিকে উদ্ধার করলেন সেই জন্য প্রত্যেকেই তাঁর প্রশংসা করেছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর