বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট অর্থাৎ সেটকে কেন্দ্র করে এবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল কলেজ সার্ভিস কমিশন (College Service Commission)। এই পরীক্ষায় স্বচ্ছতার পাশাপাশি দ্রুত ফল প্রকাশের সুবিধার জন্যই এবার প্রথম চালু করা হয়েছে অনলাইন পোর্টাল। কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে সেটের উত্তরপত্র প্রকাশ করার পর সেই উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করার জন্য প্রথমবার আনা হয়েছে একটি পোর্টাল। যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘অনলাইন চ্যালেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল’।
কলেজ সার্ভিস কমিশনে (College Service Commission) চালু হল নতুন পদ্ধতি
ফল প্রকাশের পর কোনো পরীক্ষার্থীর যদি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি সরাসরি এই পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদনের জন্য সময়সীমা বরাদ্দ করা হয়েছে আগামী দুই থেকে ছয় তারিখ পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে কলেজ সার্ভিস কমিশনের (College Service Commission) এক আধিকারিক জানিয়েছেন পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও দ্রুত ফল প্রকাশের জন্য প্রথমবার এই পোর্টাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পোর্টাল চালু হলে ছাত্র-ছাত্রীদের যদি বিভিন্ন বিষয়ের উত্তরপত্র নিয়ে অভিযোগ থাকে তাহলে তা খুব সহজেই তারা আপলোড করতে পারবেন।
বিষয় ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ওই সমস্ত অভিযোগ পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগে পরীক্ষার্থীদের এই ধরনের উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করার জন্য সরাসরি কলেজ সার্ভিস কমিশনের (College Service Commission) অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হত। আর যারা অনলাইনে আবেদন করতে চাইতেন তাদের ইমেইল করে সমস্ত তথ্য পাঠাতে হতো। ওই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার পর তা বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করা হত। কিন্তু এই প্রক্রিয়া অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ। তাই ফল প্রকাশ করতেও অনেকটা দেরি হয়ে যেত।
কলেজ সার্ভিস কমিশন (College Service Commission) কর্তৃপক্ষের দাবি নতুন পোর্টাল চালু হয়ে যাওয়ায় এবার এই কাজ অনেক দ্রুত সম্পন্ন হবে। সূত্রের খবর, অভিযোগ গ্রহণ করার পর দশ দিন মতো সময় লাগবে কমিশনে ওই সমস্ত তথ্য যাচাই করতে। এরপর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ফাইনাল রেজাল্ট আপলোড করা হবে। পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ফলপ্রকাশ করা হবে বলেই জানিয়েছিল কমিশন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে SSC ২৬০০০ মামলা! এরই মাঝে বিরাট পদক্ষেপ শিক্ষকদের, যা হচ্ছে বাংলায়…
সূত্রের খবর নতুন পোর্টাল চালু হওয়ার ফলে যদি আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা যায় তাহলে এই নির্ধারিত সময়ের আগেও রেজাল্ট বেরোতে পারে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন যোগ্য প্রার্থীরা। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন (ডব্লিউবিসিএসসি) পরিচালিত এই পরীক্ষায় চলতি বছরে পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ৫৮ হাজার ৮৬৭ জন। সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত দুটি ভাগে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৩৪টির’ও বেশি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে ৮৭ টি কেন্দ্র থেকে।
পরীক্ষা হওয়ার ৬০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন। রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে এই অধ্যাপক নিয়োগের প্রবেশিকা পরীক্ষায় কারচুপি রুখতে প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরে জোর দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ সার্ভিস কমিশন। প্রশ্নপত্রে জিপিএস ট্রাকিং থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্কে মেকানিক্যাল কম্বিনেশন কোড যুক্ত বিশেষ তালা ব্যবহার করা হয়েছিল।