বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিয়ের অনুষ্ঠানে অশান্তির খবর নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই আমরা এই ধরনের খবর দেখতে পাই। কখনো নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করার অভিযোগ, আবার কখনো যৌতুক নিয়ে সমস্যা, এই ধরনের হাজারো কারণের জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানে বর পক্ষ ও কনে পক্ষের মধ্যে অশান্তি এমনকি মারপিটের খবরও মাঝেমধ্যে উঠে আসে।
এবার এরকমই একটি খবর উঠে আসল বীরভূম থেকে। ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানার অন্তর্গত গুনসিমা গ্রামের।দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে সদাইপুর থানার অন্তর্গত গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের ইসলাম মতে বিয়ে হয় শনিবার। জানা গেছে দেখাশোনা করেই তাদের এই বিয়ে হয়েছে।
শনিবার ইসলাম মতে বিয়ে হওয়ার পর কনে চলে যায় তার শ্বশুরবাড়ি। রবিবার ছিল বৌভাত বা রিসেপশন। সূত্রের খবর রবিবার রিসেপশনে বরের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন ৩০ জন কনে যাত্রী। অভিযোগ এত কনে যাত্রী দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় বর পক্ষ। কারণ প্রথমে কনে পক্ষ তাদের বলেছিল রিসেপশনে ২৫ জন কনে যাত্রী আসবে।
পাঁচজন অতিরিক্ত কনে যাত্রী আসায় বর পক্ষ অশান্তি শুরু করে কনে পক্ষের সাথে। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। এরপর চলে হাতাহাতি। অভিযোগ বর পক্ষের লোকেরা রীতিমতো ‘সুঁটিয়ে লাল’ করে দিয়েছেন কনে পক্ষের লোকেদের। এই সংঘর্ষের ফলে আহত হন কনেসহ মোট ১০জন। এদের মধ্যে পাঁচ জনের আঘাত গুরুতর।
চিকিৎসার জন্য এই পাঁচজনকে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বাকিদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর পক্ষ অভিযোগ করেছে, যেহেতু ২৫ জনের বদলে ৩০ জন এসেছিলেন সেহেতু খাবার কম পড়ে গিয়েছিল। খেতে না পেয়ে কনে পক্ষ এই ধরনের অশান্তি করেছে।
পাল্টা কনে পক্ষের অভিযোগ, অতিরিক্ত লোক দেখে বর পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশ-লাঠি নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। এরপর ব্যাপকভাবে প্রহার করা হয় তাদের। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বর শেখ আতিকুল, তার বাবা শেখ কালো, শেখ শাকির ও শেখ বাদশাকে। অভিযুক্ত আরও পাঁচজন পলাতক।