সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ বোলপুরে পুরোদমে চলছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। পাশাপাশি পূজারীরাও নিচ্ছেন নানা প্রস্তুতি। দূর্গাপূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে বোলপুর চত্বর।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাৎসবের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শঙ্খ, ঢোল আর উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করবেন তাদের আরাধ্য দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে। সে লক্ষ্যে,জামবুনি সার্বজনীন দূর্গা পূজা সমিতিতে পুরোদমে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী সহ থিমের শিল্পীরা। এই বছর এই পূজা কমিটির থিম,‘কাশ কথা কয় কাঠের পুতুল।’ এই থিমকে সামনে রেখেই এই বছর এগিয়ে চলেছে জামবুনি । এই পূজা কমিটির ৩৬ তম বর্ষে এই বছর বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
ক্লাবে যুগ্ম সম্পাদক তাপস মণ্ডল জানান,“প্রতি বছরের মতো এই বছরেও ঠিক একই ভাবে আমরা দেবীর আরাধনা করবো। এই বছর আমাদের বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এই বছর আমরা একটা নতুন চমক নিয়ে আসছি। এই বছর আমাদের থিম,‘কাশ কথা কয় কাঠের পুতুল।’ এই থিম এই বছর দর্শকদের মন আকর্ষণ করবে। এটাই আমাদের আশা। এই থিমের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে,আজকে আমরা এই ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে আমরা সবাই মোবাইলে ব্যস্ত। আজ ক্লাস ফাইভ,সিক্সের ছেলেমেয়েদের হাতেও মোবাইল উঠে গেছে। একটা ছোটো ছেলে আড়াই বছর বয়স সেও ছোটো থেকেই বাড়িতে মোবাইল দেখছে। কিন্তু আমাদের সময় এটা ছিল না। আমাদের শৈশব কেটেছিল কাঠের পুতুল দিয়ে। আমরা ছোটো বেলায় কাঠের চাকার সাইকেল,কাঠের পেঁচা,কাঠের গৌড়নিতাই মা ও বাবার সঙ্গে মেলায় গিয়ে কিনে নিয়ে আসতাম। সেই শৈশবটাকে আমরা ফিরে পেতে চাইছি। আমাদের এই মণ্ডপে এলে পরেই আমরা বোঝাতে চাইছি আমরা যারা ছোটো ছিলাম তারা এখানে এলে শৈশবটাকে ফিরে পাবে। আমরা কাশ শব্দের অর্থ বোঝাতে চেয়েছি,এই কাশ আগমনীর জানান দেয়। তাই এই বছর আমরা দেবি দুর্গাকে কাঠের পুতুলের মাধ্যমে আগমনী জানাবো।”
ক্লাবের সভাপতি তথা তৃনমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউরি জানান,“আজ মাঠে,মাঠে গেলে দেখতে পাবেন চতুর্দিকে কাশফুল ফুটে আছে। তাই মাকে এই বছর সেই কাশফুলের মধ্যে দিয়েই আগমন করছি। আর আসতে,আসতে পুতুল নিয়ে খেলা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এই বছর আমাদের পূজা মণ্ডপে পুতুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে।”
সাধারণ পূজারিদের কয়েকজন জানায়, দুর্গা মা আসছেন, প্রতি বছর তিনি আসেন এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করেছে। সেই সাথে প্রস্তুতিও ভাল নেয়া হচ্ছে।