বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের অনেকের বাড়িতেই রয়েছে অ্যাকোরিয়াম। সেই অ্যাকোরিয়ামের মূল শোভা বাড়িয়ে থাকে বিভিন্ন রঙের মাছ। এবার সেই রঙিন মাছ চাষ (Business) করে নতুন কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছেন গাজলডোবার মিঠুন। গাজলডোবা বর্তমানে উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় একটি পর্যটনস্থান।
রঙিন মাছের ব্যবসা (Business)
ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে একটা সময় ব্রাত্যই ছিল উত্তরবঙ্গের এই জায়গাটি। তবে এখন উত্তরবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে গাজলডোবা। হাজার হাজার পর্যটক প্রতিদিন ঘুরতে আসছেন এই জায়গায়। সরকারের প্রচেষ্টায় গাজলডোবার পর্যটন চিত্র অনেকটাই বদলেছে। আজকাল পর্যটকদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে থাকে গাজলডোবা।
আরোও পড়ুন : হু হু করে বাড়বে আয়! অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে নয়া আপডেট, সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর!
তবে এই গাজলডোবার মৎস্যজীবী পরিবারের সন্তান মিঠুন মালো দেখাচ্ছেন নতুন কর্মসংস্থানের পথ। মিঠুন চান রঙিন মাছ চাষের (Business) হাব করে তুলতে মেগা ট্যুরিজম হাবের কাছে থাকা মিলনপল্লী গ্রামকে।নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যেই মিঠুন কাজ শুরু করে দিয়েছেন নিজেই। মামার সাথে রঙিন মাছ চাষ শুরু করেছেন দুটি পুকুর ও ৬টি চৌবাচ্চায়।
আরোও পড়ুন : ‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো…’ কার নির্দেশে এমন পোস্ট করছেন পুলিশ কর্তারা?
শিলিগুড়ি শহরের পাশাপাশি মিঠুন সেই মাছ পাঠাচ্ছেন ডুয়ার্সের মালবাজার, জলপাইগুড়ি সহ আশেপাশের এলাকাগুলিতে। সিকিম ও অন্যান্য রাজ্যে রঙিন মাছ পাঠানো যায় কিনা সেই বিষয় নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন তিনি। মিঠুনের কথায়, সরকার সাহায্য করলে অনেক মানুষ আসতে পারেন এই পেশায়। রঙিন মাছ চাষের (Business) জন্য উত্তরবঙ্গের মানুষের কলকাতা নির্ভরতাও কমতে পারে।
এই ব্যবসায় (Business) রয়েছে ভালো লাভ। সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই ব্যবসা (Business) করতে পারলে দ্বিগুণের বেশি আয় (Income) হতে পারে। মিঠুন জানিয়েছে, রেড কাপ, গোল্ড ফিস, ওরেন্ডা, কবিতো কাপ, মিল্কি কাপ, ভেটকি, শঙ্খিনীর চাষ আপাতত করছেন তারা। সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে গোল্ড ফিশের। এই মাছ বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।