‘মাছ, মাংস রেঁধে আনত দুই জা” অন্যের বউ নিয়ে পলাতক স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন টোটোওয়ালার স্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এতদিন নিশ্চুপই ছিলেন তিনি। অবশেষে মুখ খুললেন অপর এক গৃহবধুকে নিয়ে পালানো টোটো চালকের হতভাগ্য স্ত্রী। তিনি বললেন, ‘আমার স্বামীর ফোন আজকাল প্রায়ই ব্যস্ত থাকত, আমি জিজ্ঞেস করলে ও বারবার বলত খুব কাজের চাপ, অনেক লোককে ফোন করতে হয়।’ পলাতক টোটো চালক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী কাকলি মণ্ডল একরকম হতবাক স্বামীর এই কাণ্ডে। কাকলি দেবী আরও জানান, ‘আমি তো মিসিং ডায়ারি করব বলে ঠিক করেছি।’

গত ২১ তারিখ শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তাঁর স্বামী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা অঞ্চলের দুই গৃহবধূ মিঠু পাল এবং পবিত্রা পালের দুই টোটো চালক বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং শিবু মজুমদারের সঙ্গে ঘর ছাড়া নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পবিত্রার স্বামী অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী যদি ফিরতে চায় তাহলে তিনি মেনে নেবেন। কোনও রাগ মনের মধ্যে পুষে রাখেননি তিনি। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্বজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী কাকলি মণ্ডলও।

তিনি বলেন, ‘কোনওদিন ওঁর সঙ্গে আমার সেভাবে ঝগড়া হয়নি। আমাদের প্রায় ২০ বছরের দাম্পত্য। কেন যে ও এমন করল জানি না।’ একইসঙ্গে তিনি দোষারোপ করেছেন স্বামীর বন্ধুকেও। ওই গৃহবধূ বলেন, ‘আমার স্বামী ঘর ছেড়ে কোনওদিন বাইরে পাও রাখেনি। ওকে শিবুই নিয়ে গিয়েছে। ওর চালের দোকান ছিল। শিবুর চালের দোকানে প্রায়ই রুটি, মাংস, নানারকম ভালোমন্দ খাবার রেঁধে নিয়ে আসত ওই দুই গৃহবধূ। এ খবর আমি জানতাম। আমি জানতাম শিবুর সঙ্গে পবিত্রা পালের একটা সম্পর্ক রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে যে ওই বাড়ির মেজ বউয়ের সম্পর্ক রয়েছে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি আমি।’

তবে সন্দেহের ভাঁজ পড়েছিল কাকলির কপালেও। তাঁর কথায়, ‘বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে প্রায়ই স্বামীর ফোন ব্যস্ত পেতাম। ওকে বলতাম তোমার ফোন এত কেন ব্যস্ত থাকে। ও বলত কাজের ব্যস্ততা। আমার হালকা সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু, ও আমাকে আশ্বাস দিত। ও ব্যাঙ্ক এবং বাড়ি থেকে মোট ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে। আমার একটা দলিল খুঁজে পাচ্ছি না। তবে না জেনে এই বিষয়ে দোষ দেব না। আগে ভালো করে খুঁজে দেখি। তারপর যা বলার বলব।’

স্বামী ফিরে এলে এখন মেনে নিলেও ভবিষ্যতে মানবেন না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কাকলিদেবী। তাঁর কথায়, ‘আমার শাশুড়ি মা শয্যাশায়ী। ও যদি এখনও ফিরে আসে তাহলে মেনে নেব। যদি সংসারটা বেঁচে যায় সেই আশায়। যদি মনে করে দু’চার মাসের মধ্যে ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসবে তাহলে ওকে মেনে নেব। কিন্তু, যদি মনে করে দেড় বছর-দু’বছর পর আমার বাড়িতে এসে ঢুকবে তাহলে ওকে আমি আর ঢুকতে দেব না এই বাড়িতে। ওর নামে তো আর এই বাড়ি রেজিস্ট্রি নেই।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর