বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিন দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, আগামীকাল ১০ এপ্রিল শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচন হতে চলেছে রাজ্যে। পাঁচটি জেলার ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে চতুর্থ দফায়। আর চতুর্থ দফার নির্বাচনের আগে আরও কড়া সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে মোট ৯০০ কোম্পানির বাহিনী মোতায়েন হতে চলেছে। বুথের পাহারায় নিযুক্ত থাকবে ৭৯৩ কোম্পানির বাহিনী। এবং বাকি ১০৭ কোম্পানির বাহিনী ভোটের পরবর্তী কাজের জন্য মোতায়েন করা হবে।
আর সবথেকে বড় বিষয় হল, চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কোচবিহারে নজিরবিহীন বাহিনী মোতায়েন করছে কমিশন। ভোট ঘোষণার দিনেই বোঝা গিয়েছিল যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ একমাত্র এই জেলাতেই তিন দফায় ভোট ফেলা হয়েছে। গত পঞ্চায়ে এবং লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ব্যাপক অশান্তি হয়েছিল। আর সেই কারণেই এবার এই জেলায় বাড়তি বন্দোবস্ত করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।
চতুর্থ দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ১১টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। ওই ১১টি আসন হল সোনারপুর দক্ষিণ, ভাঙড়, কসবা, যাদবপুর, সোনারপুর উত্তর, টালিগঞ্জ, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, মহেশতলা, বজবজ, মেটিয়াবুরুজ। এই ১১টির মধ্যে বেশীরভাগ আসনই স্পর্শকাতর। সবথেকে বেশি স্পর্শকাতর হল ভাঙড়। কারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ভাঙড় কেন্দ্র অনেক বোমা উদ্ধার হয়েছে এবং রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগও পাহাড় প্রমাণ।
প্রথম তিন দফায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন থাকলেও অশান্তির খবর কম সামনে আসেনি। প্রথম দুই দফায় রাজ্যের প্রধান প্রতিপক্ষ দল হিসেবে উঠে আসা বিজেপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বললেও, তৃতীয় দফায় তাঁদের মুখ থেকে সেই কথা বের হয়নি। এরমানে এটা স্পষ্ট যে, তৃতীয় দফার ভোট নিয়ে শাসক, বিরোধী কেউই খুশি নয়। তৃতীয় দফার নির্বাচনে সবথেকে বেশি গণ্ডগোলের খবর সামনে এসেছিল। আর ওই দফায় একাধিক প্রার্থীদের উপর আক্রমণের খবরও প্রকাশ্যে এসেছিল। তাই তৃতীয় দফা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও কড়া হচ্ছে প্রশাসন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা