বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঠিক যেন বলিউড কিংবা টলিউডি কোন সিনেমার স্ক্রিপ্ট। পরনে পাজামা পাঞ্জাবি। এক মুখ উস্কোখুস্কো দাড়ি। খুবই চিন্তিত অবস্থায় থানায় অভিযোগ করতে এলেন এক ব্যক্তি। তখনো পুলিশকর্মীরা কেউই জানেননা তাঁর আসল পরিচয়। এমনই ছদ্দবেশ নিয়ে তিনটি থানায় সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন পুণের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশ।
আসলে উর্দি পড়ে গেলে সকলেই সতর্ক হয়ে ব্যবহার করেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে। তাতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের আসল ব্যবহারের ছবিটা পাওয়া যায় না। আর সেই কারণেই পরপর তিনটি থানায় একেবারেই সাধারণ মানুষ হিসেবে অভিযোগ এই কমিশনার। সূত্রের খবর যে তিনটি থানায় গিয়েছিলেন তিনি তার মধ্যে ফুল মার্কস পেয়েছে দুটি থানা। কৃষ্ণ বাবুর অভিযোগ শুনে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ গ্রহণ করেন তারা।সাথে সাথে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তবে অন্য থানাটির ক্ষেত্রেই তৈরি হয় সমস্যা। ছদ্দবেশী আইপিএসের অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি হননি তারা। আপাতত জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে সেই থানার কাছে।
জানা গিয়েছে প্রথম দুটি থানায় অভিযোগ করার পর সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেখানকার পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ গ্রহণ করে ঘটনাস্থলে টিমও পাঠানো হয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় তৃতীয় থানাটিতে। সেখানে গিয়ে ছদ্দবেশী কৃষ্ণবাবু অভিযোগ করেন, একটি অ্যাম্বুলেন্স ৪ কিলোমিটার নিয়ে যেতে কোভিড পেশেন্টের কাছে ৮,০০০ টাকা ভাড়া চাইছে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেননি সেখানকার পুলিশকর্মীরা। বরং উল্টে তাকে স্থানীয় চৌকিতে অভিযোগ করতে বলা হয়। এর পরেই নিজের আসল পরিচয় অফিসারদের জানান কৃষ্ণ প্রকাশবাবু। ছদ্মবেশ খুলতেই হাড় হিম হয়ে যায় সকলের। আপাতত শোকজ করা হয়েছে সেই থানার পুলিশ কর্মীকে।
মুঘল যুগে বীরবলের সঙ্গে শহর তদারক করতেন সম্রাট আকবর। আর তাতেই তিনি পেতেন এলাকার আসল খবর। বর্তমানে যুগের প্রয়োজনে যদি কমিশনারকে ছদ্মবেশ গ্রহণ করতেই হয় অসুবিধা কোথায়। আইনের কাছে যদি ঠিকঠাক পরিষেবা পান মানুষ, তাহলেই তো গণতন্ত্রের সঠিক মর্যাদা রক্ষা পাবে।