বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজস্থানে হিন্দু নববর্ষের শোভাযাত্রার পর হিংসা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে করৌলি এলাকা দিয়ে একটি বাইক র্যালি এবং শোভাযাত্রা যায়। কিন্তু ওই এলাকা দিয়ে র্যালিটি যাওয়ার সময় এলোপাথাড়ি ভাবে ছোঁড়া হয় পাথর। করৌলি পুলিশ জানিয়েছে, নতুন বছর উদযাপনের জন্য বাইক র্যালিটি একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, তখন কিছু লোক পাথর ছোঁড়ে। এরপরই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। দুর্বৃত্তরা কয়েকটি দোকান পুড়িয়ে দেয় এবং একটি বাইকও পুড়িয়ে দেয়। ভাংচুর করা হয় আরও কয়েকটি বাইক।
ঘটনার জেরে প্রবল উত্তেজনা এলাকা জুড়ে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় যে বাজার এবং শহরে কার্ফু জারি করা হয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন, এই ঘটনায় যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেছেন, কিছু অসামাজিক উপাদান পরিবেশ নষ্ট করছে, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজস্থানের ADG আইন ও শৃঙ্খলা হাওয়া সিং ঝুমারিয়া বলেছেন যে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে যে গুজব ঠেকাতে করৌলি মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং অসামাজিক উপাদানগুলির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্মীরা জয়পুর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত করৌলি পরিস্থিতি ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করছেন।
স্থানীয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মদন মোহন মন্দির এলাকায় এক ডজনেরও বেশি দোকান এবং ৩টি বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এখনও অবধি পুরো ঘটনায় ৩৩ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ এবং ৪ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পুষ্পেন্দ্র নামে এক আহত ব্যক্তির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতাল থেকে জয়পুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের শরীরে ছুরির আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
Rajasthan: हिंदू नववर्ष के उपलक्ष्य पर विशाल शोभायात्रा के दौरान हुआ पथराव, आधा दर्जन दुकानों में लगी आग; घटना के बाद करौली शहर में तनाव pic.twitter.com/UmDWur8VRg
— Newsroom Post (@NewsroomPostCom) April 2, 2022
এই ঘটনায় এখনও লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন কালেক্টর। পরিস্থিতির আরও অবনতি দেখে ঘটনাস্থলে পৌঁছান আইজি ভূপেন্দ্র সিংহ এবং বিধায়ক লখন সিং। পুলিশ এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।