বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তৃণমূলকে হারাতে একজোট বিজেপি (Bharatiya Janata Party)-কংগ্রেস (Congress)-সিপিএম (Communist Party of India)। ধূপগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) গ্রামীণ সভাপতির বুথে তৃণমূলকে হারাতে জোট প্রার্থী দিল বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি। ধূপগুড়ির বিডিও অফিসে কংগ্রেসের প্রতীক চিহ্নে মনোনয়নপত্র জমা দেন বাম কংগ্রেস ও বিজেপি জোট প্রার্থী নিরবালা রায়।
বিক্ষুব্ধ এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘এখানে এক অন্য চিত্র দেখা যাচ্ছে। এই বুথ দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূলের দখলে ছিল। আজ যারা ক্যামেরার সামনে রয়েছে তাঁরা এক সময় তৃণমূলই ছিলেন। দীপু রায় ব্লক সভাপতি হওয়ার পর তাঁর উদ্ধত আচরণে অখুশি হয়ে এলাকার মানুষ বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপির জোট প্রার্থী দিতে বাধ্য হল। জাত, পাত, ধর্ম না দেখে তৃণমূলকে হারাতে ১৬৫ নম্বর বুথে জোট প্রার্থীকে সমর্থন করল।’
অপর এক কর্মী বলেন, ‘তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। জোট প্রার্থীকে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থন করেছে। প্রার্থী নিরাবালা রায়ের ছেলে একসময় তৃণমূল ছিলেন। তাঁর স্বামীও আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। এখন সবাই তৃণমূলের বিরিদ্ধে লড়াই করতে চায়।’
অপরদিকে ধূপগুড়িতেই তৃণমূলে বড়সড় ভাঙ্গ।ন এবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমের যোগদান করলেন তৃনমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সহ শতাধিক পরিবার। বানারহাট ব্লকের সাঁকোঝোড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া এলাকায় এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তৃনমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীবাস দাস সহ ১০০ পরিবার সিপিআইএম এর ঝান্ডা তুলে নেয়।
তাদের হাতে সংগঠনের দলীয় পতাকা তুলেদেন সিপিআইএম এরিয়া কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত মজুমদা, বিরাজ সরকার প্রমূখ। শ্রীবাস দাস ১৯৯৮ সাল থেকে তৃনমূলের সঙ্গে ছিলেন। দু বারের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তবে এবার তৃনমূলের দুর্নীতি দেখে দল ছেড়ে সি পি আই এম এ যোগদান করেন। আর এই যোগদানের কারনে সি পি আই এম এর শক্তি যে বৃদ্ধি পেলো তা বলাই যায়।
অন্যদিকে, গত শনিবার নবদ্বীপের মায়াপুর-বামুনপুকুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য প্রবীর ঘোষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনি ইদ্রাকপুর অঞ্চলের ৭ নম্বর বুথ থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করে জিতেছিলেন। এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে ওই মায়াপুর-বামুনপুকুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের চরকাষ্ঠশালী অঞ্চল থেকে বেশ কিছু তৃণমুল কর্মী-সমর্থক সিপিএমে যোগদান করেন। তাঁদের অনেকেই তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক বলে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।