বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মারণ ভাইরাসের ছোবলে জেরবার গোটা দেশ। এ রাজ্যের অবস্থাও বেগতিক। দিনে দিনে রেকর্ড হারে মানুষজন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। থেমে নেই মৃতের সংখ্যাও। প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলায় একেরপর এক উঠে আসছে বেনজির ঘটনা। এবার কোভিড আক্রান্ত রোগীর মৃতদেহ হদিস না মেলার অভিযোগ উঠল রাজ্যে।
মঙ্গলবার করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মালবাজারের (Malbazar) সাউথ কলোনির বাসিন্দা ৭৮ বয়সী সুমিত্রা দাসের। হাসপাতালের তরফে পরিবারকে মৃত্যুর খবর দেওয়ার পর ছুটে আসেন পরিজনরা। তবে শেষ দেখা মিলল না সুমিত্রা দাসের। পরিবারের তরফে অভিযোগ ওঠে বহু চেষ্টার পরও হদিস না মেলার। হাসপাতালে তরফে জানানো হয় দেহ শ্বশানে পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে ছুটে যেতে বলা হয়, ওই নামে কোনও দেহ নিয়ে আসা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বহু কাঠখড় পুড়িয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জলপাইগুড়ির কোতালিয়া থানা।
জানা যাচ্ছে, গত ২৬ এপ্রিল মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিশ্ববাংলা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন সুমিত্রা দাস। আর তারপর মঙ্গলবার তাঁর পরিবারকে মৃত্যু খবর দেওয়া হয়। পরিজনরা হাসপাতালে এসে দেহ দেখতে চাইলে প্রথমে ২৬ হাজার ৫০০ টাকা নগদ দিতে হয়। এরপর হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শ্বশানে। কিন্তু শ্মশানে গিয়েও মিলল না দেহের হদিস। ফের তারা হাসপাতালে ছোটেন, তবে কোনও সদুত্তর না মেলায় শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তাঁরা।
অন্যদিকে, হাসপাতালের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দেহ লোপাটের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া কতৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, পরিবারকে মৃত্যু খবর দেওয়া হলে তারা আসতে দেরি করে, ততক্ষনে দেহ প্যাক করা হয়ে যায়। একবার দেহ প্যাক করা হয়ে গেলে আর খোলা হয় না, কারণ তাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই তাদেরকে দেহ দেখানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি।