স্বামীর থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা নিয়ে চাকরি পেয়ে বিচ্ছেদের অভিযোগ! এবার মুখ খুললেন পাপিয়া

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কমিশনের (TET Scam) নিয়ম মেনেই চাকরি পেয়েছেন তিনি। প্রতিশোধ নিতে স্বামী এই সব মিথ্যে রটনা করছেন। এমনই দাবি করলেন বাগদার ‘সৎ রঞ্জন’-কে টাকা দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ায় অভিযুক্ত পাপিয়া মুখোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন তিনি নির্দোষ। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মেনেই তিনি চাকরি পেয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে পাপিয়াদেবী বলেন, ‘২০১২ সালের পরীক্ষায় আমি বসিনি। ২০১২ সালে আমার ছেলে একদম ছোট ছিল। পরীক্ষা দিতে যেতে অসুবিধা ছিল। ২০১৪ সালে ছেলেকে সঙ্গে করে নিয়ে আমি পরীক্ষা দিয়েছি। স্বামীর সঙ্গে বহুদিন ধরে বিভিন্ন কারণবশত অশান্তি। অনেকগুলো কেস চলছে। আজ প্রতিটা চ্যানেল যেগুলো দেখাচ্ছে সেই ব্যাপারে আমি সত্যি কিছু জানি না। সে কাকে টাকা দিয়েছে আমি জানি না। আমি পরীক্ষা দিয়েছি, কাউন্সিলিং হয়েছে, ইন্টারভিউ হয়েছে, তার পর চাকরি পেয়েছি। এতদিন পর এসব কথা কেন বলা হচ্ছে তা জানি না। তার সঙ্গে আমার গোলমাল বলে? জয়ন্ত বিশ্বাসের সঙ্গে আমার ৭– ৮টা কেস চলছে। আমার কাছে সমস্ত নথি রয়েছে। সিবিআই চাইলেই জমা দেব’।

বর্তমানে নদিয়ার রাঘবপুর নিম্নবুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পাপিয়াদেবী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্ধার্থশংকর ভট্টাচার্য বলেন, কে কী ভাবে চাকরি পেয়েছেন তা তো বলতে পারব না। উনি ৪–৫ ঘণ্টার জন্য স্কুলে আসেন। ক্লাস শেষ হলেই চলে যান। অত কথা তো হয় না। তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপারেও জানি না।

tet teacher

পাপিয়ার স্বামী জয়ন্তবাবু তদন্তকারীদের জানান, পাপিয়া ২০১২ সালে টেট পাশ করতে পারেননি। ২০১৪-য় টেটে বসেননি। ২০১৫-র অগস্টে জয়ন্তর বাবা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী দীননাথ বিশ্বাসের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা তুলে চন্দন মণ্ডলকে দেওয়া হয়। তার বিনিময়েই ২০১৭ সালে নদিয়ার হবিবপুরের পানপাড়া জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান পাপিয়া। এই নিয়েই এখন রীতিমতো সরগরম গোটা রাজ্য।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর