বাংলাহান্ট ডেস্ক : আনিস খান হত্যা মামলায় নয়া মোড়। মৃত আনিসের বিরুদ্ধে ছিল পকসো আইনের মামলা। সেই মামলায় শমনও জারি করেছিল আদালত, সোমবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন হাওড়া গ্রামীনের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়।
পকসো অর্থাৎ প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট এই আইনের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের হাত থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া হয়। এবার এই আইনেই কোনো শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের বিরুদ্ধে।
সোমবার এই ‘খুনের মামলায়’ সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) সৌম্য রায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাগনান থানায় পকসো আইনের মামলা ছিল আনিসের নামে। কোর্ট থেকে শমনও জারি করা হয়েছিল। এর জেরেই কিছু হয়েছে কী না তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়।’ একই সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পুলিশ সুপারের দাবি, ‘সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হবে। আমরা আশ্বাস দিয়েছি নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। সত্য উদঘাটন হবেই। সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিন্ত। ওঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেও তদন্ত করা হবে।’
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দলে কারা থাকবেন তা পুরোপুরি জানা যায়নি বলেই দাবি করেন পুলিশ সুপার। এখনও আনিসের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসেনি বলেও জানান তিনি। খোঁজ চলছে মৃতের মোবাইলটিরও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরকারের তরফ থেকে মৃত আনিস খানের পরিবারকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয় সরকারের তরফে। তার প্রেক্ষিতে আনিস খানের বাবা সালেম খান সাফ জানান, ‘দিদি একটা চাকরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দিদিকে এই কথাটাই বলব, চাকরি তোলা রইল আমার মাথার ওপর। কিন্তু আমার ছেলের খুনের বিচার আপনি যখন করে দেবেন, দোষীদের শাস্তি দেবেন, সেই দিন আপনার চাকরিটা নেব।’ এই ‘খুন’এর প্রতিবাদে আজও পথে নামছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি।