বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আর তার সঙ্গে কমবেশি প্রত্যেকটি শহরেই সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী শহরগুলোতে জলস্তর ক্রমাগত বাড়তে থাকায় রীতিমতো চিন্তার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। তবে শুধু সে জলস্তর বাড়ছে তাই নয় একইসঙ্গে মাটি বসে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
ইতিমধ্যেই স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত একটি গবেষণার মাধ্যমে সামনে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই আমজনতার মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই মাটি বসে যাওয়ার পিছনে আসল কারণ কী ? বিজ্ঞানীদের কথায়, পৃথিবী জুড়ে পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক কাজকর্মের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় মাটি বসে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বিশেষ করে হাইড্রোকার্বন উত্তোলনের ফলে নষ্ট হচ্ছে মাটির প্রকৃতি। জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাটিও অনেকটা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আর সেইকারণেই বিপদ সংকেত দেখতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী। যদিও ঘন জঙ্গল এই মাটি বসে যাওয়ার সমস্যা থেকে কিছুটা সুরাহা করতে পারতো, কিন্তু বারবার করে মাটির খোঁড়াখুঁড়ি এবং সেইসাথে বড় বড় ইমারত নির্মাণের ফলে সমস্যা বেড়েই চলেছে।
এদিকে, মাটি নিচে নেমে গেলে সমুদ্রের জলতল আরো একটু উঁচু হয়ে যাবে। বিজ্ঞানী রাফায়েল স্মিথের কথায়, “সমুদ্রের মাঝে বদ্বীপের সংখ্যা কম হলেও নদীর মাঝে বদ্বীপগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের জিডিপির ৪ শতাংশ এই বদ্বীপগুলি থেকে আসে। ঘটনাচক্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বদ্বীপ গাঙ্গেয় বদ্বীপ। মানুষের কিছু বিবেচনাহীন কাজের জন্য এমন বিপদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে পৃথিবী।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার দুই শাখা নদী মিলে তৈরি করেছে এই ২৫০ কিমি চওড়া বদ্বীপ। এদিকে, মাটি বসে যাওয়ায় সবথেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে বিভিন্ন বদ্বীপগুলিতে। সেটি ডুবে গেলে সমস্যা বেশ বাড়বে। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করতে না পারলে অচিরেই হারিয়ে যাবে পৃথিবীর বহু বদ্বীপ। স্বাভাবিকভাবে কলকাতা (Kolkata) ও দক্ষিণবঙ্গও একই বিপদের মুখে। এতে যে বেশ বড় বিপর্যয় আসবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।