ফ্লেভারড কন্ডোমে হচ্ছে ভয়ঙ্কর নেশা! গ্রাস করছে দুর্গাপুরের যুবকদের, চিন্তান্বিত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কন্ডোমের মাধ্যমে এক ভয়ানক নেশায় বুঁদ হয়ে আছে দুর্গাপুরের (Durgapur) যুবকরা। ফ্লেভারড কন্ডোমের (Condom) বিক্রি এক ধাক্কায় কয়েক গুণ বেড়ে গেছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার, বিধাননগর, বেনাচিতি, মুচিপাড়া, সি জোন, এ জোন সহ একাধিক জায়গায়। কেন হঠাৎ করে এত পরিমাণ ফ্লেভার্ড কন্ডোমের বিক্রি বেড়ে গেল তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে তাজ্জব বনে গেছে প্রশাসন।

কীভাবে নেশার কাজে লাগছে ফ্লেভারড কন্ডোম? প্রশাসনিক কর্তারা জানাচ্ছেন, ফ্লেভারড কন্ডোম (Condom) অনেকক্ষণ ধরে গরম জলে ভিজিয়ে রাখলে অ্যালকোহল বেরিয়ে আসে অ্যারোমেটিক কমপাউন্ড থেকে। সেই জল যদি পান করা হয় তাহলে নাকি ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকা যায়।

আরোও পড়ুন : ৮০০ কেজি সোনা নিয়ে যাচ্ছিল ট্রাক, রাস্তায় গেল উল্টে! তারপর যা হল …

তখন প্রজন্মের পড়ুয়ারা এই ধরনের নেশার সন্ধান পেয়ে এখন তাতেই বুঁদ হয়ে আছে। বিশেষ করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে এই ধরনের নেশার চল ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক ছেলেমেয়ে রয়েছেন যারা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন।

আরোও পড়ুন : রামের কৃপা! ভক্তদের তিলক কেটে এই ক্ষুদে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের আয়কেও ছাপিয়ে যাচ্ছে

দুর্গাপুরের (Durgapur) বিভিন্ন হোস্টেলে যারা পড়াশোনা করতে আসেন, তারা অনেক সময় বদ সঙ্গে পড়ে বিপথে চালিত হন। এই ধরনের পড়ুয়াদের মধ্যে মদ, গাঁজা, সিগারেট সহ বিভিন্ন ধরনের নেশার লক্ষণ দেখা যায়। ২০২২ সালে দুর্গাপুর থেকে কন্ডোমের মাধ্যমে নেশা করার খবর এসেছিল বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে। এবার ফের একবার সেই প্রবণতা চাগার দিচ্ছে বলে খবর।

6a90b 0 condom slide 1446158701

দুর্গাপুরের ওষুধের দোকানের মালিকরা জানাচ্ছেন, আগে যেখানে দিনে তিন থেকে চার প্যাকেট কন্ডোম বিক্রি হত, সেখানে এখন প্রতিদিন প্যাকেট প্যাকেট কন্ডোম বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কন্ডোম কেনার জন্য প্রেসক্রিপশন লাগে না। এটি সহজলভ্য। তাই যুব সম্প্রদায়ের অনেকেই এই নেশার দিকে ঝুঁকছে। সস্তায় এই নেশা অনেকক্ষণ প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তাই অনেকেই এই পথ বেছে নিচ্ছেন বলে খবর।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর